ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ!

প্রকাশনার সময়: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৫১

বরগুনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

চলতি বছরের মে মাসের ১১ তারিখে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সহায়ককর্মী কাম পরিচ্ছন্নতাকারী পদে ১২ জন প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল জালিয়েতি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এছাড়াও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সংস্কার ও আসবাবপত্র ক্রয় করার নামে সরকারিভাবে বরাদ্দ হয় ৪ লক্ষ ২১ হাজার পাঁচশত ৩৬ টাকা। সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা প্রতিষ্ঠানে বণ্টন না করে নিজে আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছেন উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হক।

জানা গেছে, বরগুনা জেলায় সর্বমোট ৬৮৫টি গণশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। জেলা-উপজেলায় প্রায় ৫০টি কেন্দ্র শূন্য রয়েছে। কর্মরত প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হলেও উপ-পরিচালক বরগুনা ইসলামি ফাউন্ডেশনের গাজী আনোয়ারুল হক নোটিশ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া অর্থের বিনিময় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া করেন।

তারা আরও বলেন, কিছু শিক্ষকের কাছে উপ-পরিচালক টাকা দাবি করলে শিক্ষকরা টাকা না দিতে পারায় ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানের কোনও নোটিশ না দিয়ে ১৭ জন শিক্ষককে বাদ দিয়েছেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই শিক্ষকদের অসহায় পরিবারগুলো। এক কথায় বলা যায়, বরগুনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠক লাইব্রেরী ও বই বিক্রয় কেন্দ্র গোয়ালঘরে পরিণত হয়েছে।

তথ্য বলছে, প্রতিটি উপজেলায় পাঠক ফোরাম থাকার কথা থাকলেও তিনি তা না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এতে মেধা বিকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাঠকরা। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের নেই কোনও মাথা ব্যাথা।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জাতীয়ভাবে প্রতিবছরে জেলা পর্যায়ে ইমামদের নিয়ে ইমাম সম্মেলন ও এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, জেলার শিক্ষকদের নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস,জামাত, শিবিরের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা সভা ও অনুষ্ঠান না করে এই বাজেটের টাকা উপ-পরিচালক আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও জেলার সকল শিক্ষকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে যাকাত বাবদ রশিদ না দিয়ে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা উত্তোলন করেন তিনি। মহিলা শিক্ষকদের সাথে ব্যক্তিগত অনৈতিক কথাবার্তাও বলেন তিনি। যাহা সম্পূর্ণ বেআইনি।

উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হকের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মো. নুরুল আমিন নামে এক শিক্ষক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

এ বিষয়ে উপ-পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হতে পারে। সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আমার কাছে জমা আছে। অচিরে সবাইকে ডেকে দিয়ে দিব।’ অন্যান্য বিষয় তিনি এড়িয়ে যান।

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ