ভারি বর্ষণে আবার ডুবল চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্নাঞ্চল। শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত থেকে রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত কয়েক দফা বর্ষণে নগরীর নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকার ভবনগুলোতে পানি প্রবেশ করায় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বহদ্দারহাট ও মুরাদপুর ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি ও জলজটে একাকার নিচু এলাকা। টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে সড়ক ও অলিগলি। ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা পানি সড়কে উঠে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল থাকায় পানি বের হতে না পেরে অনেক ঘর ও দোকানপাটের ভেতর পানি ঢুকে যায়।
বৃষ্টিতে কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকা মোহরা, হামিদচর, চর রাঙামাটিয়া, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, বাস টার্মিনাল, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, খাজা রোড, মিয়াখান নগর, প্রবর্তক মোড় ডুবে গেছে।
এ ছাড়া আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক এলাকা, শান্তিবাগ আবাসিক, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, রিয়াজ উদ্দিন বাজারসহ নগরীর নিচু এলাকার সড়কগুলোতে হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতা দেখা দেয় মেহেদীবাগ, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, ছোটপুল-বড়পুল, গোসাইলডাঙ্গা ও হালিশহরের বিভিন্ন এলাকায়। এসব এলাকার প্রধান সড়কের কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর, আবার কোথাও বুক ছুঁই ছুঁই পানিতে তলিয়ে যায়।
সড়ক ডুবে যাওয়ায় যাতায়াতে কিছু কিছু এলাকায় নৌকা ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও জ্বলেনি চুলা।
এদিকে, চট্টগ্রামসহ দেশের ১৩ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ