কুড়িগ্রামে নারী নির্যাতন মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক এস.এম. নূরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম যশোর জেলার মনিরামপুর থানার ভরতপুর গ্রামের আব্দুল গণি সর্দারের পুত্র। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোটে আব্দুর রাজ্জাক জানান, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর তিলাই গ্রামে লজিং থেকে যশোর জেলার মো. জাহাঙ্গীর আলম কুরআন শিক্ষা দিয়ে আসছিল। এমতাবস্থায় সেখানকার এক কিশোরীকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে ২০১৫ সালে ২ এপ্রিল জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় ও ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে কিশোরী উদ্ধার হয়ে আদালতে তাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করার সাক্ষ্য দেয়।
ঘটনার দিন থেকে আসামি পলাতক থাকায় ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত আসামির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সমূহ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একই আইনে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে রায় প্রদান করেন।
আসামি পলাতক থাকায় তারপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ নিযুক্ত অ্যাডভোকেট সরদার মো: তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্র পক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি পরিচালনা করেন।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ