সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।
শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ শেষে ৯০০৬৪ ভোটে বিজয়ী হন তিনি। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল প্রতীকে পান ২৪৭৫২ ভোট। সে হিসেবে বেসরকারি ফলাফলে সিলেট-৩ আসনে ৬৫৩১২ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সে হিসেবে সকাল থেকেই দিনভর অনেকটা নীরবতার মধ্যদিয়েই শেষ হয় উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
শুরু থেকে ভোটারদের অনাগ্রহের বিষয়টি দেখা গেলেও প্রার্থীরা তা উড়িয়ে দেন। বলেন, নীরব ভোটে বিপ্লব হবে।' কিন্তু তাদের সকল কিছুকেই মিছা প্রমাণিত করল ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোর নীরবতা। তাইতো ফাঁকা কেন্দ্রে আনসার সদস্যদেরও অলস সময় কাটাতে দেখা যায়।
সকাল থেকে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪ টায়। কিন্তু সরেজমিনে অধিকাংশ কেন্দ্রই ফাঁকা দেখা গেছে। কোন কোন কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট ছাড়া বাকি তিন প্রার্থীরই এজেন্টই ছিলেন না। খোশগল্পে দিন কাটে আনসার সদস্যদের।
তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে লাঙ্গলের ভোটার-এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছিলেন জাপার প্রার্থী আতিকুর রহমান।
অপরদিকে সকালে মোগলাবাজার এলাকায় রেবতি রেমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ না মেলায় প্রথমে ভোট না দিয়েই ফিরতে হয় জাপার প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিককে। পরে বিকাল ৩ টার দিকে গিয়ে ফের ভোট দেন তিনি।
এদিকে চলতি বছরের ১১ মার্চ এ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণা করা হলেও কয়েক দফায় পিছিয়ে চূড়ান্ত হয় ৪ সেপ্টেম্বর। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৯ টি। আর মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮ শত ৭৩ টি।
এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে আতিকুর রহমান আতিক, দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করলেও স্বতন্ত্র থেকে মোটরকার প্রতীকে শফি আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়াসহ মোট চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ