ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউএনওর বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা না দেয়ার অভিযোগ 

প্রকাশনার সময়: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ২২:১০

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমার বিরুদ্ধে মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণ কাজের মজুরি ও সরঞ্জাম ক্রয় বাবদ ২০ লাখ টাকা না দেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী।

সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে পেকুয়ায় সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন চকরিয়া উপজেলার ঈদমনি গ্রামের মৃত ছাবের আহমদের পুত্র ছৈয়দ আলম মিস্ত্রী।

লিখিত বক্তব্যে ছৈয়দ আলম মিস্ত্রী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কনস্ট্রাকশনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার লাল ব্রিজ এলাকায়। চলতি বছরের এপ্রিলে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা মুজিববর্ষের আওতায় মগনামা ও বারবাকিয়া ইউনিয়নে ৩৬টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে আমার সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। প্রতিটি ঘর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তৈরি করে দেওয়ার জন্য ইউএনও পূর্বিতা চাকমা আমাকে দায়িত্ব দেন। ইউএনওর নির্দেশ মোতাবেক মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা গ্রামে ১০টি, মটকাভাঙ্গা গ্রামে ১৫টি, সোনালী বাজারে ১টি, বারবাকিয়া ইউনিয়নের মগপাড়া গ্রামে ৫টি ও বুধামাঝির ঘোনা গ্রামে ৫টিসহ সর্বমোট ৩৬টি ঘর তৈরি করে দিই। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের শেষ দিন পর্যন্ত আমি শ্রমিক নিযুক্ত করে ৩৬টি মুজিববর্ষের ঘর তৈরি করে দিয়েছি।

তিনি আরো লিখেন, প্রতিটি ঘর আমাকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে তৈরির করে দেয়ার জন্য ইউএনও পূর্বিতার চাকমা নির্দেশ দেওয়ায় আমি উনার কথামতো কাজ করেছি। প্রতিটি ঘর তৈরি বাবাদ ২ লাখ ৫০ হাজার করে ৩৬টি ঘরের সর্বমোট বিল হয় ৯০ লাখ টাকা। কিন্তু জুলাই মাস পর্যন্ত ইউএনও আমাকে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে কয়েক কিস্তিতে ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। আরো ১৬ লাখ টাকা ও ঘরের বেইজ ঢালাই বাবদ ৪ লাখসহ ২০ লাখ টাকা ঘর নির্মাণ বাবদ আমি ইউএনওর কাছ থেকে পাওনা রয়েছি। ইউএনও পূর্বিতা চাকমা গত একমাস ধরে আমার পাওনা ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করছেন না। আজকাল দিবে বলে সময়ক্ষেপণ করছেন। গত কয়েকদিন আগে আমি ইউএনওর সাথে সরাসরি দেখা করে আমার পাওনা ২০ লাখ টাকা চাইলে আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয়ায় সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ছৈয়দ আলম।

তিনি আরো বলেন, পেকুয়ার ইউএনও আমার পাওনা ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এখন টাকা চাইলে আমাকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন। ইউএনওর কথামতো মুজিববর্ষের ঘরের কাজ করে দিয়ে আমি কী অপরাধ করেছি? আমি ধারদেনা করে মুজিববর্ষের ঘরের কাজ করেছি। এখন ইউএনও আমাকে আর টাকা দিবে না বলে জানিয়েছে। ইউএনওর এমন কাণ্ডে আমি অসহায় পড়েছি। এমতাবস্থায়, মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণ বাবদ আমার পাওনা ২০ লাখ টাকা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমা বলেন, মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে নানা অনিয়ম ও কাজে ধীরগতির কারণে তাকে কাজ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ কারণে তিনি সরকার বিরোধী মতাদর্শের লোকজনের ইন্দনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। তিনি যতটুকু কাজ করেছেন সব টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আর কোন টাকা পাবেন না বলে উল্লেখ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ