ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাঁচ বছর ধরে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই

প্রকাশনার সময়: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ২১:১৬

হাটহাজারী উপজেলার ৯ নং গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৬ নং এর ফজলুল হক সড়কের কিছু অংশ তুলাতুল হতে স্লুইস গেট পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার মিটার রাস্তা দীর্ঘদিনও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বারবার সংস্কারের দাবি তোলা হলেও এ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি কেউ। যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে যাওয়ার অন্যতম একটি সড়ক এটি। বছরে প্রায় সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় প্রশাসনের সবাই এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু পাঁচটি বছর পার হলেও কারো চোখে পড়েনি এই সড়কটি।

রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী জিয়াউর রহমান, মো. ইসমাইল, বখতিয়ার, শোয়াইব জানান, রাস্তাটি প্রায় দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে আমরা এলাকাবাসীরা অনেক দুর্ভোগকে পড়েছি। বিশেষ করে বর্ষাকাল আসলেই দুর্ভোগ যেন আরো চরমে পৌঁছাই। বর্ষাকাল আসলেই এখানে কাদায় পরিণত হয়। এই সময় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় এলাকার গর্ভবতী কোন মহিলা কিংবা কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক কষ্টে পড়তে হয়।

স্থানীয় অটো রিকশাচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মো. পারভেজ, মো. মুন্না, মো. সাদ্দাম জানান, বর্ষাকাল আসলেই এ রাস্তাতে যে আর গাড়ি নিয়ে যেতে পারি না। কিন্তু মাঝেমধ্যে অনেক অসুস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ মানুষটা হেঁটে যেতে না পারলে কষ্ট করে গাড়ি নিয়ে এই কাদার দিয়ে খেলে অনেক সময় গাড়ি আটকে গেছে যা এলাকার চার পাঁচজন ব্যক্তি এসে ধাক্কা দিয়ে তোলা হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত যদি এই সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয় আমাদের যেমন সুবিধা হবে তেমনি স্থানীয় ভোগান্তিতে পড়া এলাকাবাসীর শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

এ বিষয়ে গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার বলেন, আমি রাস্তাটি ইস্টিমিট করে করে পাঠিয়েছি। আপনার প্রয়োজন হলে ফরওয়ার্ডিংটা নিতে পারেন।

উল্লেখ্য: ২০১৮ সালে বেরিবাঁধের কাজ শুরু হলে এ রাস্তাটির উপর দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সে কারণে আগে থেকে এ রাস্তাটির ইট তুলে ফেলা হয়েছে। পরে রাস্তাটির উপর দিয়ে বেরিবাঁধ গেলে অনেক মানুষের ঘরবাড়ির ক্ষতি হবে এরকম প্রতিবাদ করলে পরে বেরিবাধের ম্যাপ নদীর পাড়ে পাড়ে করে নিয়ে যায়। পরে বেরিবাধেঁর কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত এ রাস্তাটিতে একটি ইটও বসে নাই।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ