ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কচুয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা 

প্রকাশনার সময়: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১৯:৪৪

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১১৮নং বাঁচাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। এতে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষ জুড়ে বালু, খোয়া, সিমেন্টের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ছাদের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে। এ বিদ্যালয়টি ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে পুনর্নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬ জন শিক্ষক ও ১২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

২০১৩ সালের ৪ জুন বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। তারপরও এখন পর্যন্ত নতুন ভবন হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে বড় আকৃতির ফাটল দেখা দেয়। এর মধ্যে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে ছাদের পলেস্তরা খসে খসে নিচে পড়ছে। বিভিন্ন সময় পলেস্তরার অংশ ভেঙে শিক্ষার্থীদের গায়ে পড়ায় আঙ্কিত হয়ে পড়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী কল্পনা, রহিমা ও সাথী জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে হয়। সব সময়ে ভয়ে আতঙ্কে থাকি আমরা।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীপাঞ্জলী চন্দ্র ভৌমিক জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে নতুন ভবন নেই, নেই কোনো আধুনিক শৌচাগার ও ওয়াসরুম। এসব না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। কিছুদিন পূর্বে ক্লাসে পাঠদানের সময়ে ছাদ থেকে পলেস্তরা ধসে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা ভয়ে থাকে সবসময়। দ্রুত ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের দাবি জানান তারা।

স্থানীয় অভিভাবক স্বাধীন সরকারসহ আরও অনেকে জানান, প্রতিদিন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয়ে থাকি। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে তা বলা যাচ্ছে না। নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহদেব চন্দ্র সরকার বলেন, বিদ্যালয়ে একটি ভবনে ৩টি কক্ষ রয়েছে। আমাদের মোট প্রাক-প্রাথমিকসহ ৬টি কক্ষ প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যালয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ভবন ঘোষণা দিলেও তা এখনও নতুন করে ভবন নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকট, নেই আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মিথুন সরকার বলেন, আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। একটি ভবন হওয়ায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুরাতন ভবনে পাঠদান চলছে। তবুও নতুন ভবন পাওয়ার আশায় স্বপ্ন দেখছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছিমা আক্তার বলেন, ইতিমধ্যে কচুয়া উপজেলায় কয়েকটি বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তন্মধ্যে বাচাঁইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি। নতুন ভবন নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ