ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে তালা, থানায় অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১২ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৪৬

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কৃষ্ণনগরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সংখ্যালঘু পরিবারের নামে বরাদ্ধকৃত একটি ঘরে জোরপূর্বক তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক ইউপি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা হিরেন্দ্র দাস বাদী হয়ে মিঠামইন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, মিঠামইনের কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রৌফ ভুঁইয়ার ছেলে জলিল ভুঁইয়ার বাড়িতে কৃষ্ণনগরের বিনয় দাস নামে এক দিনমজুর ২ বছর আগে ৭ মাসের জন্য ৬৫ হাজার টাকা ও ২৫ মণ ধান পাবে এ চুক্তিতে চাকরি নেন। চাকরি নেওয়ার শুরুতেই বিনয় ৩৪ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে নেয়। ৩ মাস কাজ করার পর বিনয় অসুস্থ হয়ে পড়লে জলিল ভুঁইয়া এসে জোরপূর্বক তাকে কাজে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কাজে না গেলে তাকে নানা ধরনের হুমকি দেয়। ভয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরটি তার ভাই হিরেন্দ্রকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে পরিবার নিয়ে ঢাকা চলে যায় বিনয়। পরে হিরেন্দ্রকে জলিল ভুঁইয়া টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে ঘর দখলের চেষ্টা করলে ভয়ে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে হিরেন্দ্র।

২ বছর পর আবারও গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জলিল ভুঁইয়া তার লোকজন নিয়ে ঘর দখল করতে আসে। হিরেন্দ্র বাঁধা দিলে তাকে মারপিট করার হুমকি দেয়। পরে জোরপূর্বক ঘরে তালা ঝুলিয়ে দখল নেয়।

অভিযোগকারী হিরেন্দ্র দাস জানান, ২ বছর আগে তার ভাই বিনয় দাস জলিল ভুঁইয়ার বাড়িতে ৭ মাসের জন্য চাকরি নেয়। ৩ মাস কাজ করার পর বিনয় অসুস্থ হয়ে পড়লে বাকি ৪ মাস কাজ করতে পারেনি। তখন জলিল ভুঁইয়া তার ভাইকে জোরপূর্বক কাজে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এমনকি মারপিট করার হুমকি দেয়। ভয়ে বিনয় পরিবার নিয়ে ঢাকা চলে যায়। ভাই চলে যাওয়ার পর হিরেন্দ্রকে চাপ সৃষ্টি করলে সে তার ভাইয়ের পক্ষে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি শেষ করেন। ২ বছর পর আবারও জলিল অন্যদের নিয়ে তার ভাইয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর জোরপূর্বক দখল নিতে আসে এবং তালা ঝুলিয়ে দেয়। যাওয়ার সময় তাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।

কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাকে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। এ ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন যাবৎ নানা ধরনের নিপীড়ন করে আসছে। তারা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এ সকল ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন। এ অবস্থা চলতে থাকলে এলাকায় কোনো সংখ্যালঘু পরিবার বসবাস করতে পারবে না।

মিঠামইন থানার ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার বলেন, বিষয়টি থানার একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ