ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাগমারা এখন শান্তির জনপদ

প্রকাশনার সময়: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৩৫ | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৪৯

ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী জেলার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত গৌরবের আধুনিক বাগমারা উপজেলা। ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বিশাল উপজেলা বাগমারায় প্রায় চার লক্ষাধিক লোকের বাস। বাংলার বার ভূঁইয়ার স্মৃতি বিজড়িত জনপদটি ধর্মীয় কারণেও তাৎপর্য বহন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা উৎসবের আদি স্থান হিসাবে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও রয়েছে এ জনপদের রক্তাক্ত অবদান।

১৯৮৩ সালে বৃহত্তর এই জনপদটি উপজেলার মর্যাদা পেলেও দীর্ঘদিন উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত রয়ে যায়। বিগত সরকারের দুঃশাসনে বাগমারায় উত্থান ঘটে কথিত মধ্যযুগীয় ‘বাংলা’ ভাইয়ের যা বাগমারা কে একটি রক্তাক্ত ও সন্ত্রাসীর জনপদ হিসাবে পরিচিতি দান করে। বিগত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইঞ্জনিয়ার এনামুল হক সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর বাগমারার মানুয়ের আশা-আকাংখার লালিত স্বপ্ন-একটি সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য ‘বাগমারা বিনির্মাণে’সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিগত ১২ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায়, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিরলস প্রচেষ্টা ও বাগমারাবাসীর সহযোগিতায় বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী যেমন রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ সহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে। সম্মিলিত ও সার্বিক প্রচেষ্টায় বাগমারা এখন তার রক্তাক্ত অতীত ছাপিয়ে শিক্ষা ও শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে এবং জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’স্বীকৃতি পেয়েছে।

দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সংগ্রামে বাগমারার রয়েছে গৌরবময় অবদান। জোট সরকারের স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের ফলে স্বাধীনতার চেতনা অনেকটাই ম্লান হতে চলেছিল। এ উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি, আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন সহ স্বাধীনতার ইতিহাসকে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট সঠিক ভাবে তুলে ধরা সহ জাতির জনকের অবদানকে স্মৃতিতে অম্লান করে ধরে রাখতে সাংসদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে ছয়তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। স্মৃতি কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস। কমপ্লেক্সটি ইতিমধ্যে দেশের বুদ্ধিজীবী মহল সহ সর্বস্তরের জনগণ কর্তৃক ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পদচারনায় মুখরিত হয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে বাগমারায় শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিস্তারে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার প্রসারে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ভবানীগঞ্জ কলেজকে সরকারী করণ ও তাহেরপুর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং সালেহা ইমারত কলেজ, বাগমারা কলেজ ও নাসিরগঞ্জ কলেজ ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীতকরণ, বালানগর ফাজিল মাদ্রাসাকে কামিল পর্যায়ে উন্নীতকরণ সহ ০৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। উপজেলায় ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, দশটি মাদ্রাসা ভবন, ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ ও ৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এছাড়া, ১০৮টি রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে।

তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ‘ডিজিটালাইজেশন’পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় উপজেলায় একটি দ্বিতল বিশিষ্ট আইসিটি ভবন (ডিজিটাল ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার) নির্মাণ করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত শিক্ষায় গতি আনতে ১৭টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষা প্রণোদনা কর্মসূচী যেমন বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র ও অবহেলিত শিশুদের বিদ্যালয়মূখী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাগমারার সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপজেলায় বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ ভাগ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৫% ছাত্র/ছাত্রী বিদ্যালয়গামী হয়েছে এবং উপজেলার শিক্ষার হার জেলার সর্বোচ্চ ৮০ ভাগ এ দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকমন্ডলী ও অভিভাবকদের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষা খাতে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

বাগমারায় শিক্ষার সম্প্রসারণ ও জনকল্যাণে ২০০৬ সালে একান্ত নিজ উদ্যোগে সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন স্থাপন করেন সাংসদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান হিসাবে। দৃষ্টিহীনদের চিকিৎসা ছাড়াও মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান এবং সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে এ ফাউন্ডেশনটি মানব সেবামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফলের ভিত্তিতে সম্বর্ধনা আয়োজনের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন ও পুরস্কৃত করার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি ও গুনগত মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া, বছরব্যাপী শিক্ষকমন্ডলী ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনা ও মূল্যায়ন সভা সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সেমিনার/সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। সালেহা ইমারত ফাউন্ডেশন এ পর্যন্ত ২০ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা প্রদান করেছে।

বাগমারা উপজেলাকে একটি ডিজিটাল মডেল উপজেলায় রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। বাগমারায় ইতিমধ্যে একটি অত্যাধুনিক উপজেলা কমপ্লেক্স ও ১৪টি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরও ২টি নতুন ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। সকল ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার চালুর ফলে গ্রামের কৃষক, মজুর, চাকুরীজীবী সহ সবার জন্য দেশে-বিদেশের সাথে তথ্য আদান-প্রদান সহ সার্বিক যোগাযোগ অনেক সহজতর হয়েছে। উল্লেখ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সেবার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প-২০৪১ অর্জনের লক্ষ্য দ্রুত এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।

দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাগমারার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড গৃহীত হয়েছে। সম্প্রতি প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রসারিত কমপ্লেক্সের আসন সংখ্যা ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। এছাড়া, ১১ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ৬টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উপজেলার পিছিয়ে পড়া ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে হচ্ছে।

এ সকল চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৭৫০০ জন দরিদ্র জনসাধারণ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এছাড়াও, মাতৃত্বকালীন ও গর্ভকালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যা কর্মসূচী সহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে উপজেলাটি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে রেকর্ড স্থাপন করেছে। করোনা চিকিৎসায় এসেছে দেশজুড়া সাফল্য। করোনা চিকিৎসায় অর্জন পরেছে যুগান্তকারী সাফল্য। চিকিৎসকের দক্ষতা আর মানবিক সেবায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমে গেছে। করোনার শুরুতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেয়া হয়েছে চিকিৎসা সেবা।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রধান পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। গত ১২ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাগমারা উপজেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০০৮ সালের পূর্বে তিনটি ইউনিয়নে কোন পাকা রাস্তা ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে প্রায় ৩০০ কিঃ মিঃ রাস্তা পাকাকরণ এবং ১৫৫ কিঃ মিঃ রাস্তার সংস্কারকরন এবং ২৯০ কিঃ মিঃ কাঁচা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। অধিকন্ত, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযোগ সাধনে ২০টি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মিত হয়েছে এবং কিছু নতুন ব্রীজ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাগমারায় উন্নয়নের একটি বড় সাফল্য হলো বিদ্যুতায়ন। বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০৮ এর আগে বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ ছিল ১৫ ভাগ এর কম। এমপি এনামুল হকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলায় পরিনত হয়েছে। রাজশাহীর কাটাখালীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত নর্দান পাওয়ার সল্যুশান হতে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হতেও বাগমারাবাসী সুফল পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের ‘কৃষক বান্ধব’ কৃষি নীতির ফলে খাদ্য শস্যে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন সহ কৃষি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সফলতা অর্জিত হয়েছে। কৃষকদের ভূর্তুকি ও কৃষি ঋণ সহজ লভ্য করা, সেচ ব্যবস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাষী পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম, পাট, আলু, পিয়াজ, রসুন ইত্যাদি কৃষি পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়ণে প্রকৃত প্রান্তিক চাষীদের বীজ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এ সময়কালে কৃষি খাতে ফসল উৎপাদন বাবদ প্রায় ৯০ হাজার কৃষককে প্রায় ৭ কোটি টাকার কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ২৬ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার এবং ২৯ হাজার কৃষককে কৃষি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এসকল ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। কৃষকগণ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত পণ্য বাজার জাত করে আর্থিক সচ্ছলতা লাভে সক্ষম হচ্ছে।

এ সকল উন্নয়নের পাশাপাশি নিয়মিত টিআর, কাবিটা, এডিপি ও জেলা পরিষদের আর্থিক বরাদ্দের মাধ্যমে বাগমারার প্রায় প্রতিটি সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। কাবিটা প্রকল্পের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে ২২.৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯০ কিঃ মিঃ কাঁচা সড়ক নির্মাণ ও টিআর প্রকল্পে ৮,৬৭০ মেঃ টন বরাদ্দের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নে ৪,৯০৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।

বর্তমান সরকার গরীব বান্ধব ও উন্নয়নের সরকার। উন্নয়নের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ও জীবন মান উন্নয়নে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী, মাতৃত্বকালীন, গর্ভকালীন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা প্রদানের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় বাগমারায় বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার দুঃস্থ জনগণ সেবা পাচ্ছে যা তাদের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।

গত বারো বছরে বাগমারায় প্রায় ১৫ হাজার যুবক ও যুব মহিলার সরকারী ও বেসরকারীভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার অতি দরিদ্র ও অদক্ষ জনগোষ্ঠিকে প্রশিক্ষণ দানসহ কর্মসংস্থান তৈরীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী করতে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাজশাহীতে সম্প্রতি সাঁকোয়াটেক্স নামে গার্মেন্টস ফ্যাক্টারী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যার মাধ্যমে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান তৈরী করেছে।

রক্তাক্ত জনপদ বাগমারার চিত্র পাল্টে দিতে আইন-শৃংখলা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩টি স্থায়ী তদন্ত কেন্দ্র ও ১টি অস্থায়ী তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, জনগণের সুবিধার্থে একটি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে।

বাগমারায় শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বের অংশ গ্রহণে বছরব্যাপী নানান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রতিটি কার্যক্রমে এলাকার যুবক, ছাত্র, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণীর জনসাধারণ অংশ গ্রহন করে থাকে। এছাড়াও, জনপ্রতিনিধি হিসেবে যে কোন দূর্যোগ-দূর্বিপাক এবং সামাজিক উৎসবেও বাগমারাবাসীর পাশে থাকেন তিনি। জনগণের পাশে থাকতে প্রতি সপ্তাহে এলাকা পরিদর্শন কালে এবং মুঠোফোনে এলাকাবাসী নির্ভয়ে তাদের দাবী দাওয়ার কথা বলার সুযোগ পান। তাঁর একান্ত সহযোগিতায় এবং ঐকান্তিক ও নিরলস চেষ্টা মূলত বদলে গেছে বাগমারার অতীত চিত্র।

নয়া শতাব্দী/ এসকে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ