মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের তিন শিশুর এখনো খোঁজ মেলেনি। তারা হলেন খিদিরপুর গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে মাহির (৫), কয়রাখোলা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরিফ খানের ছেলে তোরান (৭) ও মেয়ে নাবা (৪)।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরিফ খান বলেন, আমার ছেলে তোরান ও মেয়ে নাবার এখনো কোনো খোঁজ পাইনি। তাদের খোঁজার জন্য আমি আজ সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। যদি কেউ আমার ছেলে-মেয়ের খোঁজ পেয়ে থাকেন তাহলে 01815273879 নম্বরে দয়া করে জানাবেন।
খিদিরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, এখনো তিন শিশুর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন দিক থেকে তাদের খোঁজা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বারের ঘাট থেকে সকাল ৭টায় পদ্মা সেতু দেখার জন্য মাঝিসহ ৪৬ জন পিকনিকের উদ্দেশে বের হয়। সারা দিন আনন্দভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলারটি লৌহজং উপজেলার রসকাঠি এলাকার গৌড়গঞ্জ তালতলা খাল (পদ্মার শাখা নদী) এলে বিপরীত দিক থেকে আসা খালি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জন প্রাণে বেঁচে যায়। আর বাকি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয় ও বাকি তিনজন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ