ঢাকা থেকে নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকায় মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে ৭ বছরের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং শিশুর শরীরে ধর্ষণের আলামত রয়েছে বলে মত দেন।

পরে সদর থানা পুলিশ শিশুর মামা-মামীকে ভওয়াখালী এলাকায় তাদের ভাড়া বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও বিকেলে তাদের ছেড়ে দিয়েছে। সদর হাসপাতালে বিকেলে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশু সুবর্ণা তার সৎ বাবা সিরাজুল ইসলাম ও মা ঝর্না বেগমের কাছে ঢাকার মিরপুর এলাকায় থাকতো। গত দু’দিন আগে সুবর্ণা ঢাকা থেকে ভওয়াখালী এলাকায় বসবাসকারী একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকরিরত মামা হাফিজুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তার স্বজনরা অসুস্থ শিশু সুবর্ণাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে এসে জানায় সুবর্ণা জ্বরের কারনে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত শিশুটির যৌনাঙ্গ ও শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ দেখেন।

এ ব্যাপারে নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকৎসক ডা.হাফিজুর রহমান মুক্ত বলেন, শিশুটির যৌনাঙ্গে ধর্ষণের আলামত থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেবার জন্য পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার পরে বিষয়টি পরিস্কার হবে।

সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন, মৃতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শিশুটির বাবা-মা ঢাকা থেকে নড়াইলে এসে থানায় আসেন এবং তাদের কোনো অভিযোগ নেই বলে জানান। শিশুর বাবা-মা জানিয়েছেন শিশু সুবর্ণা জ্বর অবস্থায় মামা বাড়িতে বেড়াতে আসে। শিশুর মামা-মামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হলেও দুপুরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এম