ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের ওপর হামলা

প্রকাশনার সময়: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১৫:০৯

নাটোরে জনসমাবেশ শুরুর চার ঘণ্টা আগে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (৩১ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে শহরের চকবৈদ্যনাথ গুড়পট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জনসমাবেশের প্রস্তুতির জন্য দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের লোকজন রহিম নেওয়াজের ওপর এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপির দলীয় কোন্দল থেকে এই হামলা হতে পারে।

গুরুতর আহত অবস্থায় রহিম নেওয়াজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি সকাল ৯টায় শহরের আলাইপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশ করার উদ্যোগ নেয়। এ উপলক্ষে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ ভোর পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন। চকবৈদ্যনাথ গুড়পট্টি এলাকায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত লাঠি ও রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। বাহিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, হত্যার পরিকল্পনা করেই রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি জনসমাবেশ সফল করার জন্য ভোরেই বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন। তার গতিপথ দুর্বৃত্তদের জানা ছিল। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, তারা এখন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তারা আপাতত জনসমাবেশের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ওরফে রমজান বিএনপির অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন না। পূর্ববিরোধের জেরে বিএনপির কেউ এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে তারা তা প্রতিহত করবেন।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, সদস্য সচিবকে পেটানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। হামলাকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ