ঢাকা, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খসে পড়া কোটি টাকার সেই বিদ্যালয় ভবন ভেঙে ফের নির্মাণের নির্দেশ

প্রকাশনার সময়: ২৫ জুলাই ২০২৩, ১৮:২৪

বিদ্যালয় ভবনের পিলারের কংক্রিটের ঢালাই হাতের খামছিতেই খসে পড়ে। ফলে কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে ‘সাবধান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির নিকটে আসা নিষেধ’ লেখা একটি সাইনবোর্ড নির্মাণাধীন ভবনের পিলারে টানিয়ে দেয়। এমন অবস্থা ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বিদ্যানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের। দরপত্রের শিডিউল না মেনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যেনতেনভাবে কাজ শুরু করায় ভবন নির্মাণের প্রায় কোটি টাকা জলে যাওয়ার অভিযোগ উঠে।

এরপর ২০ জুন পরিদর্শন করেন ইউএনও মোহা. নাহিদুল করিম। পরিদর্শন শেষে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে কাজ বন্ধ করে দেন। এরপর ২১ জুন এলজিইডির ময়মনসিংহ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভবনটি পরিদর্শনে আসেন এবং সেই রিপোর্ট বিভাগীয় অফিসে প্রেরণ করেন।

এরই প্রেক্ষিতে সরেজমিনে ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম, কোয়ালিটি কন্ট্রোলের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হক, ডিজাইন শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক, পিইডিপি-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান এবং ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল জামান সোমবার

(২৪ জুলাই) দুপুরে ৫ সদস্যের তদন্ত প্রতিনিধি দল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের প্রতিটি পিলার, ভিম, ছাদ ও মাটি খুড়ে বেইজসহ রিবন্ড হেমার টেস্ট যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ৫ সদস্যের এ প্রতিনিধি দল।

তদন্ত প্রতিবেদন শেষে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব মোর্শেদ জানান, কংক্রিটের পিলার, ছাদ ৭ দিনের মধ্যে ভেঙে পুনরায় নির্মাণের জন্যে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেন। অন্যথায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিল আটকে দেয়াসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়।

জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণের জন্য ৯৯ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরপর চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ২৭ জানুয়ারি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হৃদয় এন্টারপ্রাইজ। যা চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা।

প্রসঙ্গত, এ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন নিয়ে গত ৯ জুলাই নয়া শতাব্দী’র ৫ পৃষ্ঠায় শতাব্দীর বাংলা পাতায় ‘স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়ম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ