আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের কচু লতি বাজারে পাওয়া যায়। মৌলভী কচু, ওলকচু, মুখি কচু ও পানি কচু সবারই চেনা। তবে গুণাগুণের দিক দিয়ে কচু, কচুর লতি এবং কচুর পাতায় রয়েছে অনেক উপকারি উপাদান। তবে সম্প্রতি রাজবাড়ীর বিভিন্ন বাজারগুলোতে কচুর লতা পাওয়া গেলেও দাম বেশ চড়া।
কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গর্ভোস্থ অবস্থা, শিশুর বাড়ন্ত, কেমোথেরাপি নিচ্ছে এমন রোগীর জন্য কচুর লতি প্রচুর উপকারী। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে ও চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে। এ সবজিতে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ অনেক বেশি। এ আঁশ খাবার হজমে অনেক সহায়তা করে। অনেক পুরানো কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত করে। যেকোনো বড় অপারেশনের পর খাবার হজমে উপকারী পথ্য হিসাবে কাজ করে থাকে।
কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি। যা সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করে দ্বিগুন শক্তিশালী। ভিটামিন সি চর্মরোগেল বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। কিছু পরিমাণ ভিটামিন বি হাত-পা ও মাথার উপরিভাগে গরম হয়ে যাওয়া, হাত পায়ে ঝি ঝি ধরা বা অবশ ভাব সমস্যাগুলো দূর করে। মস্তিস্কে সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচলের জন্য ভিটামিন বি ভীষণ জরুরি। এতে কোলেস্টেরল বা চর্বি নেয়। বিধায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কচুর লতি খাওয়া নিশেধ নেই।
সম্প্রতি বাজারগুলোতে কচুর লতা পাওয়া গেলেও দাম চড়া। এ এলাকায় যশোর থেকে কিছু লতা আমদানি হয় যা আড়তের মাধ্যমে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে পড়ে। তারা ইচ্ছা মতো দাম হাকায়। পয়সাওয়ালারা কিনতে পারলেও দেশের সিংহভাগ দরিদ্ররা এর ধারের কাছেও যেতে পারে না। মাঝে মধ্যে বাজার মনিটরিং হলেও তখনই আবার যা তাই হয়ে যায়।
সম্প্রতি রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি, গোয়ালন্দ, পাংশা ও কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, সূরা কাঁচা তরকারি দোকানগুলোতে কচুর লতি পসরা সাজানো রয়েছে। দোকানদাররা কৌশলে লতার দাম হাঁকছেন ৮০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
তবে পাইকারি আড়তগুলোতে কথা বলে জানা যায়, যশোর থেকে ক্রয় এবং পরিবহন খরচ সহ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পরে। আমরা ৬৫ টাকা খুচরা ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করি। তারা বাজারের মধ্যে ইচ্ছামতো বিক্রি করেন। নিয়মিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের বাজার মনিটরিং প্রয়োজন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ