ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ সুপারের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ জাদুঘর’

প্রকাশনার সময়: ২২ জুলাই ২০২৩, ১২:৩১

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনসের একটি কক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ জাদুঘর’। এই উদ্যোগের পরিকল্পনা গ্রহণকারী এবং বাস্তবায়নকারী হলেন জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

১২০০ বর্গফুট আয়তনের দৃষ্টিনন্দন কক্ষটিতে শোভা পাচ্ছে ৮ টি কংক্রিটের ওয়াল, ৩টি স্ট্রিং ওয়াল, ৩টি বোর্ড ওয়াল ও ২ টি স্মৃতি স্মারক। এখানে রয়েছে ১৯৪৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নানা ঘটনাবলির ৩০০ ছবি, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, উন্নয়ন ও সোনার বাংলা। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী, রাষ্ট্রীয় স্মারক, মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত ৩০৩ রাইফেল, হ্যান্ড গ্রেনেড, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে একাত্তরের ২৫ মার্চে ব্যবহৃত বেতার বার্তা প্রেরণ যন্ত্র প্রভৃতি।

বঙ্গবন্ধু ও বহির্বিশ্ব, ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বীকৃতি, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, থমকে যাওয়া উন্নয়ন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের অবদান এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা। যা দেখতে বা জানতে আসছে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

জাদুঘর দেখতে আসা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র সাকিব বিশ্বাস, ছাত্রী তাসফিয়া তাবাসসুম, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ছাত্রী রিংকি ইসলাম ও জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বড় হতে চাই। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আধুনিক ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ভূমিকা রাখব।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেন জানান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর বংশ পরিচয়, ছোটবেলা, ছাত্রজীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, বিশ্ব নেতাদের সাথে সাক্ষাৎকারের অমূল্য ছবি স্থান পেয়েছে এ গ্যালারিতে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যপক ড. আব্দুর রশীদ বলেন, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন তার মেধা মননে সৃষ্টিশীল এবং আবেগত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি সাজিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারিটি এক কথায় বাংলাদেশ দর্শন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, এখান থেকে শিশুরা বঙ্গবন্ধু আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বড় হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, এটি দেখে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারছে। এরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ গড়বে।

চুয়াডাঙ্গা বিএমএ সভাপতি ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী বলেন, এখানে বঙ্গবন্ধুর ও মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি সংগ্রহে রাখা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর লালিত বাসনা, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। এগুলো আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য গ্যালারিটি ভূমিকা রাখবে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের ঋণ, মা-বোনেরদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের এ অর্জিত স্বাধীনতা। এর পেছনে রয়েছে জাতির পিতার কর্মকাণ্ড, এ জাতির পিতা আমাদেরকে বাংলাদেশ দিয়েছেন, আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তার ডাকে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটিকেই মূলত পরিচয় করিয়ে দেয়ায় টানা ৪ মাস কর্মযজ্ঞে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারি।

তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গ্যালারিটি দ্রুত সকলের জন্য উন্মুক্ত করার মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশবাসী বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ