ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নুহাশপল্লীতে ভক্তদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ 

প্রকাশনার সময়: ১৯ জুলাই ২০২৩, ১৯:৪৩

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। নুহাশপল্লীতে পরিবারের স্বজন ও ভক্ত শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করেছেন দিনটিকে।

বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ হুমায়ুনের উপস্থিতিতে কবর জিয়ারত করা হয়। এ সময় হুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। আয়োজন করা হয় কুরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল।

হুমায়ূন আহমদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হুমায়ুন আহমেদ চলে গেছেন ১১ বছর। এখনো হুমায়ুন আহমেদের নাটক যদি ইউটিউব বা চ্যানেলে চলে আমরা শেষ না করে উঠতে পারিনা। তবে খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য হুমায়ুন আহমদের বহু নাটক, সিনেমা বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউব চ্যানেলে কোন রকম চুক্তিপত্র ছাড়াই তার সৃষ্টিকর্ম চালানো হচ্ছে। হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকতেও নেয়নি, মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকার কারও সাথে চুক্তি বা মৌখিক অনুমতি নেয়নি। দেশের এসব প্রথম সারির ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কতৃপক্ষের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি, উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি কিন্তু তারা এটি গ্রহণ করেননি এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।

হিমু পরিবহনে হেলপার প্রিতম বলেন, বাংলাদেশের সবাইকে ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন করা। এছাড়াও বইপড়া ও বৃক্ষরোপণ করা হয়ে থাকে। তবে আমাদের মুল কাজটি হয়ে থাকে লিফলেট বিতরণ করে ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন সৃষ্টি করা।

হিমু পরিবহনে হেলপার রফিক বলেন, আমি ভৈরব থেকে সকালে ঢাকা যাদুঘর সামনে আসি। এরপর সেখান হতে ৫১ জন হেলপার নিয়ে নুহাশ পল্লীতে আসি৷ আমরা হুমায়ূন স্যারকে হৃদয়ে লালন করি, স্মৃতিচারণ করি। আমরা হিমু পরিবহনের প্রতিটি হেলপার হুমায়ুন স্যারের চরম ভক্ত।

জামালপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক মোস্তফা বলেন, হুমায়ূন স্যার মৃত্যু পর থেকে প্রতিটি জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকীতে এখানে আসি। আমি বাংলা শিক্ষক আর স্যারকে আমি অন্তরে লালিত করি। আমার কষ্টের বিষয় স্যারকে কখনো সামনাসামনি দেখিনি৷ স্যার যখন মারা যায় তখন নুহাশপল্লী চিনতাম না, এজন্য কবর দিতে পারিনি।

প্রতিবছরের মতো এবারও নুহাশ পল্লীতে মিলাদ ও কোরআন খতম আয়োজন করা হয়। পরে দুই শতাধিক এতিমদের দুপুরে ভালো খাবার খাওয়ানো হয়।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। পরে তাকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী তার স্বপ্নের নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় দাফন করা হয়।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ