ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশনার সময়: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১৮:০৪ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১৮:১৪

কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী মো. দিদারুল আলমের একটি অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ওই ভিডিও এবং কিছু স্থির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়টির একের পর এক নেতিবাচক ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।

অভিযুক্ত দিদার কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের মধ্যম মুক্তারকুল বাংলাবাজার গ্রামের মৌলানা মির আহমদের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। ছাত্রজীবনে শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার ছিলেন বলে জানা গেছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সন্তানদের ওই স্কুলে পাঠাতে সংকোচ বোধ করছেন। এতে ওই বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই সহকারীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী দিদার একটি সুদৃশ্য কক্ষে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিড়িও কলে এক নারীর সাথে কথা বলছেন। পরে একে অপরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন অঙ্গ দেখিয়ে ‘ফোন সেক্স’ করতে দেখা যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত দিদার বিভিন্নভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন যাবত পরীক্ষার্থীসহ নারী অভিভাবকের সাথে শারীরিক সম্পর্ক ও কুকীর্তি করে বহু নারীর ইজ্জত নিয়ে মেতে উঠেন। তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৪২ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত দিদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বান্ধবীর সাথে ভিড়িও কলে কথা বলেছেন স্বীকার করে বলেন, আমার একজন বান্ধবী আছে। তার সাথে ভিড়িও কলে কথা বলছিলাম রুমে দাঁড়িয়ে। এ সময় আমার গায়ে কাপড় না থাকলেও আমি লুঙ্গি পড়া অবস্থায় ছিলাম। কে বা কারা এটি এডিট করে বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করে প্রতিবেদককে নিউজ না করার অনুরোধ করেন।

স্কুল সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রধান শিক্ষকের ছত্রছায়ায় ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন দিদার। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রধান উৎস হিসেবে তিনি কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার বিশ্বস্ত তল্পিবাহক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন দিদার। একারণে স্কুলটির নানা সমস্যা যেন ‘অদ্ভুত অন্ধকার’ গ্রাস করতে যাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মকে। জাতি গড়ার প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারির নারী কেলেঙ্কারি বিষয়টি বিব্রত বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে কতৃপক্ষ।

বিষয়টি নিয়ে খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ভিড়িওটি দেখে আমি অত্যন্ত লজ্জা পেয়েছি। এবং এ ঘটনায় বিব্রতবোধ করছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধতন কতৃপক্ষের ধারস্ত হবেন।

এবিষয়ে দৃষ্টি কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ