ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শখের নার্সারিতে সফল মহররম আলী

প্রকাশনার সময়: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১৪:৪২ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১৫:০৪

ভাগ্য উন্নয়নের আশায় বিদেশ পাড়ি দেন মহরম আলী। বিদেশে অনেক পরিশ্রম করে বিপুল টাকা উপার্জন করেন তিনি। পরে দেশে ফিরে শখের নার্সারি করার স্বপ্ন জাগে মনে। সেই শখ থেকে এখন নেশায় পরিণত হয়েছে নার্সারি। নার্সারি করে আর্থিকভাবে সফল হয়েছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের মো. মহরম আলী।

বর্তমানে তার নার্সারিতে রয়েছে প্রায় ৪৫ প্রজাতির ফলের গাছ। নার্সারি থেকে তার বার্ষিক আয় হচ্ছে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মতো। মহরমের এ নার্সারি দেখে হোসেনপুরের আশপাশে বিভিন্ন পাড়াসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে অর্ধশতাধিক নার্সারি গড়ে উঠেছে।

হোসেনপুর উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে হোসেনপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের পেছনে সবুজ বাংলা মুয়াজ 'অবস্থিত। বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে দেশে বহু জমি-জমা বাড়িঘর নির্মাণ করেন। বগুড়ায় চিল্লায় গিয়ে নার্সারি দেখে শখ জাগে বাড়িতে একটি নার্সারি করবেন। চিল্লা থেকে ফিরে হোসেনপুর মহিলা কলেজের পিছনে ৪০ শতক জায়গার উপর ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ রোপণ শুরু করেন।

এ নার্সারিতে জলপাই, লিচু, বরই, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা, লেবু, জাম, আখ, মরিচ, বিভিন্ন জাতের ফুল ও ওষধি গাছ পাথরকুচি, তুলসি চারা উৎপাদন শুরু করেন। কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গফরগাঁও, পাকুন্দিয়া, ভৈরব, নান্দাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে তার নার্সাসি থেকে কলম জাতের গাছের চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তার এ নার্সারিতে মাসিক ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সে হিসেবে ব্যয় বাদে এসব চারা বিক্রি করে তার মাসিক আয় হচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো। সব মিলিয়ে এখন তার বার্ষিক আয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।

নার্সারি ব্যবসায়ী মহরম আলী জানান, ব্যবসা করে লাভবান হওয়াই বড় কথা নয়। তিনি নার্সারি ব্যবসায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এটা শুরু করেছেন। কেউ যদি নার্সারি করতে চায় তাহলে তিনি সবধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করবেন। তিনি তার নার্সারিকে দেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চান। পাশাপাশি এ উপজেলায় কমপক্ষে শতাধিক নার্সারি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এ জন্য দিনরাত খেটে যাচ্ছেন। এখানে প্রতিদিন ৮-৯ জন শ্রমিক কর্মে নিয়োজিত থাকেন। শ্রমিকরাও নার্সারিতে কাজ করে ভালোভাবে দিনাতিপাত করতে পারছেন।

হোসেনপুর উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী জাহিদ হাসান রণি জানান, বর্তমানে বৃক্ষরোপণে মানুষের আগ্রহ বাড়ায় নার্সারিতে চারা উৎপাদন ও ফলজ বাগান করে লাভবান হচ্ছে অনেকেই। ফলে নার্সারিতে এলাকার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা তাদের জৈব সার উৎপাদন, বালাইনাশক ও ফল উৎপাদনের যাবতীয় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করে থাকি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ