ঈদুল আজহার বাকি আছে আর মাত্র একদিন। এ ঈদকে কেন্দ্র করেই গাজীপুরসহ সাভার-আশুলিয়া ও আশপাশের এলাকার সকল কলকারখানা, অফিস-আদালত ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়েছে। এতে নারীর টানে ঘরে ফেরার জন্য ছুটছে তারা। যার ফলে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার চন্দ্রা এলাকায়।
সকাল থেকে উত্তরের পথে ঈদ যাত্রায় কিছুটা স্বস্তি থাকলেও দুপুর হতেই থেমে থেমে বৃষ্টির বাগড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় দুপুরে তুলনায় সন্ধ্যার দিকে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। যাত্রী ও পরিবহনের চাপ থাকলেও চন্দ্রা ত্রিমোর ব্যতীত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর অঞ্চলে রাস্তায় যানজট নেই বললেই চলে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই যাত্রীরা ছুটছে বাড়ির দিকে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার রাস্তায় ভোগান্তি কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা, স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। এতে মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে অনেকটাই দুর্ভোগ বেড়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পরিবার নিয়ে ঘরে ফেরার উচ্ছ্বাস নিয়ে মহাসড়কে নেমেছে যাত্রীরা। ছোটখাটো দুই একটি ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ব্যতীত বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনার চোখে পড়েনি। দুর্ভোগ এড়াতে নিরলস পরিশ্রমও করছে পুলিশ প্রশাসন।
যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে। অন্যদিকে, যাত্রীবাহী বাসে ভাড়া বেশি থাকায় স্বল্প খরচে ট্রাক-পিকআপে উঠছে মানুষ।
শিহাব নামের এক ব্যক্তি বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। একটু কষ্ট তো হবেই। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই যাচ্ছি।
আব্দুল জলিল নামের আরেকজন জানান, বৃষ্টিতে কিছুটা সমস্যা করেছে। ভিজে ভিজে টিকিট সংগ্রহ করে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এটুকু কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু এইটা কষ্ট মনে হচ্ছে না।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন চালক জানান, দুপুর হতেই চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে আবার হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি যার কারণে সড়কে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে খুব বেশি যানজট নেই।
এদিকে, মহাসড়কে নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজিসহ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
গাজীপুর রিজিয়নের সালনা হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা আতিকুর রহমান ও কালিয়াকৈর থানার কর্মকর্তা আকবর আলী খান জানান, মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করতে আমাদের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে যানজটের স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেসব জায়গায় যানজট নিরসন করা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ