ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলাশয়ে ৫০ কৃষকের মাছ ধরা ও কৃষি কাজ বন্ধের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ২৬ জুন ২০২৩, ১১:৫১

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামের ‘তালবাড়িয়া জলাশয়’ নামের একটি জলাশয় আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১০ বছর যাবত এ জলাশয়ের সকল কাজ গ্রামের স্থানীয় কৃষকরা করে আসছে। এখান থেকে বছরে ৭ লক্ষ টাকার মাছ ও কৃষির ৮০ শতাংশ ফসল উৎপাদন হয়। জলাশয়টি টেন্ডার ক্রয় করার জন্য স্বপন ৫০ জন কৃষকের নিকট থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা থেকে বঞ্চিত করছে কৃষকদের।

জানা গেছে, পদ্মা নদীর ১১৮ একরের জলাশয়টি টেন্ডারের মাধ্যমে মো. সনি মালিথা অগ্রাধিকার পেলে তা ইজারা পদ্ধতিতে মো. সামসুল আলম স্বপনের কাছে বিক্রি করে দেয়। এরপর থেকে স্থানীয় ৫০ জন কৃষক সে জলাশয়ের মাছ শিকার ও পানি নেওয়া পরবর্তী সময়ের কৃষি কাজ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কৃষকরা স্থানীয় প্রভাবশালী শামসুল আলম স্বপনের বিরুদ্ধে জলাশয়ে মাছ ও পানি নেওয়া বন্ধ করারও অভিযোগ তুলেছে।

বাবলু সরদার নামে এক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত আমরা এখানে একসাথে কাজ করতাম। আর এই জলাশয়ের কাজের উপরই আমাদের জীবন-জীবিকা চলতো। হঠাৎ করে টেন্ডার পাওয়ার পর স্বপন আমাদের সেখানে কাজ করতে বারন করেন। কিন্তু টেন্ডার পাওয়ার আগে চুক্তি অনুযায়ী একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টেন্ডার ক্রয়ের জন্য ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছে আমাদের থেকে। কিন্তু এখন সে তার প্রভাব খাটিয়ে নিজস্ব লোক নিয়ে সেখানে কাজ করছে। আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে চাই।’

চরগড়গড়ি গ্রামের কৃষক আলম মালিথা বলেন, ‘আমাদের কষ্টের টাকা তাকে দিয়েছিলাম একসাথে কাজ করবো বলে। কিন্তু সে এই জলাশয় দখলে নেওয়ার পর আমাদের আর কাজে নিতে চাচ্ছে না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের সেখান থেকে বঞ্চিত করেছে। তালবাড়িয়া জলাশয়ে মাছ শিকার ও কৃষি কাজ করেই সংসার চালাতাম। কাজ করতে না পেরে এখন জীবন খুব কঠিন হয়ে গেছে।’

অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সামসুল আলম স্বপনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একটা সার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনও জানিনা। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কোনও দুর্নীতি ও অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। আমি টেন্ডারপ্রাপ্ত এ জলাশয়ের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।’

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ