রাজশাহী পবা উপজেলার নওহাটা ছাগলের হাটে নির্ধারিত ফ্রি এর চেয়ে বেশি টাকায় ছাগলের ছাড়পত্র নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেআইনিভাবে টাকা নেওয়ার জন্য বিচার দাবি করছেন ক্রেতারা।
রাজশাহীর শহর সংলগ্ন এ ছাগলের হাটের অধিকাংশ ক্রেতা শহরের মানুষ। কোরবানি সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ও সোমবারের এ হাটটি এখন জমজমাট হয়ে উঠেছে। এ সুযোগে হাটের ইজারাদার বেশি মূল্যে টাকা আদায় করে নিচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ অন্যান্য পশুর হাটগুলোতে ছাগলের ছাড়পত্র সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা নেয়। কিন্তু এ হাটে ৭৫০ টাকা আদায় করছে যা মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
রাজশাহী মহানগরীর ষষ্টীতলা এলাকার ছাগল ক্রেতা সুমন জানান, আমি নওহাটা ছাগলের হাটে কোরবানির জন্য একটি ছাগল ক্রয় করেছি। হাটে ছাড়পত্র করতে গেলে ৭৫০ টাকা আদায় করেছে। এত বেশি আদায় ছাগলের ছাড়পত্র হয় না।
একই রকম অভিযোগ তুলে নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকার তসলিম ও সাগরপাড় বটতলা এলাকার জাবেদ বলেন, হাটটিতে ইজারাদার ঈদকে পুঁজি করে মাত্রারিক্ত ছাড়পত্রে টাকা আদায় করছে। ছাগলের একটি ছাড়পত্রে ৭৫০ টাকা আর কোনো হাটে আছে কিনা আমাদের জানা নেই। নিয়ম বর্হিরভূতভাবে এমন আদায়ে ইজারাদারের শাস্তি দাবি জানান তারা।
হাটের ইজারাদার আব্দুল মাজেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাটে কত টাকা করে ছাড়পত্রে আদায় করা হচ্ছে তা আমি জানিনা। আগামীকাল হাটে গিয়ে জানতে পারবো বলে দ্রুত ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে নওহাটা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ছাগলের হাটে ছাড়পত্র নেওয়ার রেট কত টাকা নির্ধারণ করা আছে সেটি আমার জানা নেই। তবে সরকারি মূল্য অনুযায়ী টাকা নিলে তো আর ইজারাদারের চলে না। মিটিং করে পারিপাশ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে একটি রেট নির্ধারণ করা হয়। আমার ওই মিটিং এ যাওয়া হয়নি তাই বলতে পারবো না। তবে প্রকৃতপক্ষে বেশি টাকা আদায় করলে ইজারদারকে নিষেধ করা হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনিসুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি আমাদের জানা নেই, আমি পবা ইউএনওকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে বলে দিচ্ছি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ