নাদিয়া নুসরাত নামের এক ছাত্রদল নেত্রীকে নির্যাতন ও শারীরিক হেনস্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার।
রোববার (১৮ জুন) দুপুরে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর বিএনপি। এ সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম, নির্যাতিত ও কারান্তরিন ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতের মা কোহিনুর আক্তার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব ছালাহ উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, কর্ণেল ( অব) আজিমুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক আজম খাঁন, এডভোকেট এম এ তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আবু আহমেদ হাসনাত, মোহাম্মদ জাকের হোসেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসীম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আবছার জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি প্রমুখ।
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘তারুণ্যের সমাবেশে মিছিল সহকারে যোগদানের সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী বাকশালী সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত ভোটারবিহীন ফ্যাসিস্ট সরকার আবারও গায়েবি মামলা দায়ের শুরু করেছে।’
‘হাটহাজারীতে শ্রমিক লীগ নেতা সৈয়দ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ২৬ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেনা বলে জানান। ঐ মামলায় ২৬ নং আসামি রেজাউল করিম রকি ও দিদারুল আলম দীর্ঘদিন থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে থাকলেও তাদের আসামি করা হয়েছে। শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক নগরীর ষোলশহর (২ নং গেইট) বিপ্লব উদ্যানে শহীদ জিয়ার নামফলকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন থানায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সমাবেশ বানচাল করার অপচেষ্টা করেও জনস্রোত ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত এখন।’
তিনি বলেন, ‘তারুণ্যের সমাবেশ শেষে রাতে নিজ বাসায় ফেরার পথে মিরসরাইয়ে ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি ঘরে আটকিয়ে নির্যাতন ও শারীরিক হেনস্তা করে। এরপর জোরারগঞ্জ থানায় মামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তদসহ বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪ ধারা মামলায় দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। এসব বন্ধ না হলে আমরা যে কোনও কর্মসূচী দিতে বাধ্য থাকিবো।
নির্যাতিত ও কারান্তরিন ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতের মা কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ের কোনও দোষ নেই। তার দোষ সে রাজনীতি করে। রাত ৮টায় এলাকার তার কর্মীদেরদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। তখন দেখতে পাই কিছু ছেলে আমার মেয়েকে নির্যাতন করছে। তখন আমি তাদের বাধা দিলে তারা আমাকেও মারধর করে। আমি সেখান থেকে মিরশরাই থানা যোগাযোগ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে তারা নির্যাতনের পর থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দেয়। আমি আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচায় চাই।’
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ