ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের দত্তের বাজার ইউনিয়নের যাত্রাসিদ্ধি গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখ (৬৫)। তিনি ইট ভাটার ব্যবসার পাশাপাশি স্বপ্ন নিয়ে গবাদিপশুর একটি খামার গড়ে পেয়েছেন সফলতা। এবারের কোরবানির হাটে ২১টি ষাঁড় তুলবেন এ খামারি।
২০১৩ সালে মাত্র ৫টি ষাঁড় গরু কিনে গবাদিপশুর খামার গড়ে তোলেন মান্নান। ৫টি থেকে ১০টি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। ১০ থেকে ধীরে ধীরে ২১টি বিভিন্ন আকারের ষাঁড় ও ১১টি গাভি রয়েছে মান্নান শেখের খামারে। এভাবে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠলেন একজন সফল খামারি।
মান্নান শেখ জানান, এবার কোরবানির হাটে তুলবেন ছোট-বড় মিলিয়ে ২১টি ষাঁড় গরু। এর মধ্যে ৩টি ষাঁড় আড়াই লাখ, ৩টি ২লাখ, ৪টি দেড় লাখ ও বাকি ১১টি ষাঁড় লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
ওই খামারের নাম ‘ফাহাদ ডেইরী ফার্ম’। মান্নানের বাড়ির পাশেই বিশাল সেড ঘরে খামার। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই খামার করেছেন। প্রায় প্রতিদিনই লোকজন আসেন মান্নানের কাছে খামার সম্পর্কে নানা পরামর্শ নিতে।
গফরগাঁও উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আরিফুল ইসলাম জানান, এখানকার খামারে ক্ষতিকারক কোনো ওষুধ ব্যবহার করেন না খামারিরা। উপজেলায় বিপুল দেশি গরু পাওয়া যায়। এ কারণে অনেকেই গরু পালনকে ব্যবসায়িকভাবে নিতে শুরু করেছেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকেও তাদের উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর সফল খামারি মান্নান অন্যদের খামার গড়ার পরামর্শ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখছেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ