পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। ফলে স্কুল চলাকালীন যেকোন সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জানা যায়, ১৯৫৫ সালের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ২০১৮ সালে জাতীয়করণের ঘোষণা হয়। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী এ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২০০। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র এটি। বিদ্যালয়টি ৬০ দশকে এ ভবন নির্মাণ হয়। কিন্তু গত তিন বছর ধরে ওই শ্রেণিকক্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে রীতিমতো পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়ে একটি আবেদনও করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এলিন জানান, আমাদের ক্লাসরুমের ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আমরা ভয়ে ভয়ে সব সময় ক্লাস করি। মাঝে মাঝে প্লাস্টারে গুঁড়া এসে আমাদের গায়ে মাথায় পড়ে। এটি ভেঙে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণ করলে লেখাপড়া জন্য খুবই ভালো হবে।
প্রধান শিক্ষক মো. সালাউদ্দিন সৈকত জানান, আমাদের এই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সংকট, শিক্ষকগণের বসার জায়গা সংকট, প্রধান শিক্ষকের রুমও সংকট। পুরাতন জরাজীর্ণ এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচে আমরা মাঝে মাঝে পাঠদান চালাচ্ছি। আমরা মাঠেও বেঞ্চ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিয়ে থাকি। কয়েক বছর আগে আমি জেলা প্রশাসক ও এমপি মহোদয়কে বিষয়টা জানিয়েছি এবং ওই ভবন জেলা প্রশাসক ও এমপি মহোদয় পরিদর্শন করে গেছেন। কতৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব এখানে নতুন ভবন তৈরি করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা সেলিম মিয়া জানান, বিদ্যালয়টির ভবনগুলো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন। আমি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা মাঠে সামিয়ানা টানিয়ে ক্লাস নেবো।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ওই বিদ্যালয়ে মাঝে মাঝে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমি যাই। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে জেনেছি। অতি দ্রুত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বিষয়টি জানানো হবে, যাতে দুই একদিনের মধ্যেই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ