ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বান্দরবানে অংশীজনদের সাথে সংলাপ করলো বিএনকেএস

প্রকাশনার সময়: ১৪ জুন ২০২৩, ২১:১৯

কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বান্দরবানে অংশীজনদের সাথে সংলাপ করেছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বলিপাড়া নারী উন্নয়নকল্যাণ সমিতি (বিএনকেএস)।

বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে বিএনকেএস এর আয়োজনে ও ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশের সহযোগিতায় বিএনকেএস এর সভাকক্ষে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

বলিপাড়া নারী উন্নয়ন কল্যাণ সমিতি (বিএনকেএস)-এর কর্মসূচী পরিচালক পেশল চাকমা এর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো.তারেকুল ইসলাম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিএনকেএস এর উপ-নির্বাহী পরিচালক উবানু মারমা, ম্যানেজার ভানুনসিয়াম বম, ট্রেনিং অফিসার পারমিতা চাকমা, সিইচসিপি মংম্যানু মারমা,বেলক কুমার চাকমা , সিংচং ম্রোসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সঞ্চালনা করতে গিয়ে বিএনকেএস এর উপ-নির্বাহী পরিচালক উবানু মারমা বলেন, ‘জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা আসার পর প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ মানুষের জন্য একটি করে মোট ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির পরিকল্পনা ছিল। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং ৮ হাজার ক্লিনিক চালু হয়। পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়।’

‘২০১৮ সালে বর্তমান সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাকে একটি আইনি কাঠামোতে ঢেলে সাজানো হয়। এরপর দ্রুত বাড়তে থাকে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী পুরো বাংলাদেশের বর্তমানে ১৪ হাজার ২০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে এবং আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৯০টি ক্লিনিকের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। যা প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চিত করণের একটি উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনকেএস গত ২০২১ সাল হইতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশ সহযোগিতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদর উপজেলা কুহালং, বান্দরবান সদর ও টংকাবতী ইউনিয়ন ও থানচি উপজেলার বলিপাড়া ও থানচি সদর ইউনিয়নের মোট ২৩টি পাড়ার ‘ইনস্যুরিং রিপ্রোডাকটিভ হেলথ রাইটস এন্ড জেন্ডার ইকুয়ালিটি ফর এথ্নিক হিলি ওমেন ইন বান্দরবান’ নামের প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। প্রকল্প কর্ম এলাকার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান বৃদ্ধির ও জনগোষ্ঠীদের সেবা গ্রহণে জন্য সচেতনতার সৃষ্টি লক্ষ্যে সমন্বয়ে মাধ্যমে নিয়মিত সভা, সেমিনার আয়োজনে মাধ্যমে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।’

অংশীজনদের সাথে সংলাপকালে প্রধান অতিথি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ থেকে ৩২ ধরনের ঔষধ সরবরাহ করা হয়। এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে প্রান্তিক মানুষ বিনামূল্যে সেবা গ্রহণ করে থাকে। শুক্রবার ব্যতীত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদান করা হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকে হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) তত্বাবধানে সেবা প্রদান করা হয়। তাছাড়া ইউনিয়ন ও উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে চিকিৎসকরা উপস্থিত থেকে সেবা প্রদান করে থাকে। কমিউনিটি ক্লিনিকে মাধ্যমে ইপিআই, গর্ভবতী মায়ের চেকআপ, চর্মরোগ, শিশুর টিকা, কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়াসহ প্রাথমিকভাবে নানান রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।’

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ