ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কেসিসি নির্বাচন : নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো খুলনা

প্রকাশনার সময়: ১০ জুন ২০২৩, ১৮:২৯

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের সকল প্রচার-প্রচারণা শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। সোমবার (১২ জুন) ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শেষ সময়েও নানা প্রতিশ্রুতি আর ভোটের আবেদন নিয়ে নগরজুড়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা।

এদিকে কেসিসি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে শনিবার থেকে ১১ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে পুরো খুলনা নগরী। এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রসহ নগরীর সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট প্রায় সাত হাজার পাঁচশত সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

সূত্র মতে, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আ. লীগের একক প্রার্থী হিসেবে তালুকদার আব্দুল খালেক প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তার সাথে লড়ছেন জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুল আউয়াল, স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (মুশফিক) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন।

মেয়র পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই না থাকলেও জমে উঠবে কাউন্সিলর নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সাধারণ ৩১টি ও সংরক্ষিত ১০টি মিলে মোট ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৫ জন প্রার্থী। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা প্রায় দুই হাজার ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটরিং করবে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা।

জানা গেছে, কেসিসিতে এ বছর ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে তারা ভোট প্রদান করবেন। ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সহজ করতে এসব কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, কেসিসি নির্বাচনে এবার ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের সামনে একটি করে ক্লাজ সার্কিট ক্যামেরা থাকবে। এ ছাড়া ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ১২ জুন ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

তিনি জানান, সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় একজন অস্ত্রসহ এসআই/এএসআই, তিনজন কনস্টেবল, অস্ত্রসহ একজন আনসার (পিসি), অস্ত্রসহ একজন (এপিসি), ১০ জন আনসার সদস্যসহ মোট ১৬ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী লোক নিয়োগ থাকবে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। র‌্যাবের টিম ও বিজিবি নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়াও কেন্দ্র অনুযায়ী থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম বলে জানান তিনি।

এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে টহল শুরু করেছে বিজিবি সদস্যরা।

খুলনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা চারদিন দায়িত্ব পালন করবেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ