ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে নান্দাইলে ‘চরবেতাগৈর কেন্দ্রীয় পাঠাগার’

প্রকাশনার সময়: ৩০ আগস্ট ২০২১, ১৫:২১ | আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২১, ১৮:০৪

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ‘চরবেতাগৈর কেন্দ্রীয় পাঠাগার’ প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানকে সার্বজনীন করার লক্ষ্য নিয়েই চরবেতাগৈর ইউপির কিছু স্বপ্নবাজ মানুষের উদ্যোগে ২০২১ সালে ‘চরবেতাগৈর কেন্দ্রীয় পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতেই তাদের এ প্রয়াস।

উপজেলার চরবেতাগৈর ইউপির চরশ্রীরামপুর নতুন বাজারের পূর্বপাশের চৌরাস্তায় এই পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঠাগারের জন্য চেয়ার, টেবিল, বুক সেলফ এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক বই ক্রয় করা হয়েছে, আরও বই ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে।

ফেসবুক গ্রুপ ‘আমরা চরবেতাগৈর ইউনিয়নবাসী’ প্ল্যাটফর্ম থেকে এলাকাবাসীর কল্যাণের জন্য স্থায়ীভাবে কী করা যায়, সেই চিন্তা থেকেই পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এর আগে এই গ্রুপটি করোনাকালে খাদ্য সাহায্য নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, দরিদ্র ক্যান্সার রোগীকে নগদ অর্থ সাহায্য প্রদান এবং নিয়মিত বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে।

আলাউদ্দিন আকন্দ, ফরিদ আহমেদ শাহীন, ফরিদ উদ্দিন সরকার, শামীম আল মামুন, আবু আক্তার ফকির দুলাল, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, শফিকুল ইসলাম শাহীন, বখতিয়ার খিলজি, জালাল উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান সাদেক,হারুন-অর-রশীদ, সাজ্জাদ হোসেন সজীব, রমজান আলী প্রমুখ প্রাথমিকভাবে এই পাঠাগারের উদ্যোক্তা। পরবর্তীতে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন সাজ্জাদ হোসেন সজীব।

সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বইপ্রেমী অনেক পাঠক পাঠাগারে বসে বই পড়ছেন। মুখলেস নামে একজন পাঠক বলেন, ‘পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিত বই পড়ছি। অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। চরাঞ্চলের মানুষের জন্য নিঃসন্দেহ এটি বিরাট পাওয়া।’

উদ্যোক্তাদের একজন আবু আক্তার ফকির দুলাল বলেন, ব্যাংকার ফরিদ আহমেদ শাহীন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে পাঠাগারের জন্য মূল্যবান অনেক বই উপহার দেওয়া হয়েছে। অনেকে বই দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন ‘পাঠাগার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করা। বর্তমানে মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ নেই। হাতে হাতে মোবাইল। তারা চান সবার হাতে হাতে মোবাইলের বদলে বই শোভা পাক। সবাই না হলেও অন্তত কিছু লোকও যদি এই পাঠাগারের মাধ্যমে বই পড়তে আগ্রহী হয়, তবেই তাদের উদ্দেশ্য সার্থক হবে বলে মনে করেন পাঠাগারের উদ্যোক্তারা।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ