মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লৌহজং উপজেলার বড় নওপাড়া গ্রাম সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
নিহত নুরুল হক নাফি (২৫) ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। এবং ঢাকার নতুন বাজার এলাকার শরিফুল হকের ছেলে।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের সব্যসাচী সৌম্য দাস (২৯) ও নুরুল হক নাফি (২৫) নামের দুইজন শিক্ষার্থী শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের কাছাকাছি গোসল করতে নামেন।
এরপর পদ্মা নদীর স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গেলে তারা দুইজনই পানিতে ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা থেকে ডুবুরি টিম এসে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে সব্যসাচী সৌম্য দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর টানা ২৪ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ থাকা নুরুল হকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পারিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সব্যসাচী সোম দাশ ঢাকার তেজগাঁওয়ের তেজকুনি পাড়ার সরোজ কুমার দাশের ছেলে ও নুরুল হক নাফি ঢাকার নতুন বাজার এলাকার শরিফুল হকের ছেলে।
নয়া শতাব্দী/এসআর/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ