ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বরিশালে ১৯ প্রার্থীকে বিএনপির শোকজ

প্রকাশনার সময়: ০২ জুন ২০২৩, ১৮:৩৪

বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনসহ ১৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত ১০ টার দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই শোকজ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্য জাহিদুর রহমান রিপন।

শোকজপ্রাপ্তরা হলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, শাহ আমিনুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম হাওলাদার, মহানগর যুবদলের সহসভাপতি হুমায়ুন কবির, সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমীন সামাদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিনা বেগম, রাশিদা পারভীন, জাহানারা বেগম, নগর বিএনপির সাবেক সহশিশুবিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী মনিরুল ইসলাম, কাজী মোহাম্মদ শাহীন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আবদুল্লাহ সাদি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে খায়রুল মামুন রয়েছেন এই তালিকায়।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপে এই নোটিশ পান বলে নিশ্চিত করেছেন কামরুল আহসান রুপন।

তিনি বলেন, দল থেকে আগে আমাকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ২৬ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এই সময়ের মধ্যে বিএনপি থেকে কোনো ধরনের বার্তা দেওয়া হয়নি। বিএনপি বার্তা দিলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নিতাম না। যেহেতু আমাকে শোকজ করা হয়েছে আমি এর লিখিত জবাব দেব।

সাবেক সহ-সভাপতি ও ২৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, আমি এখন দলের কোনো পদে নেই, সেহেতু নির্বাচনে কোনো বাধা নেই। তাই যেহেতু অনলাইনে শুনেছি শোকজের কথা। হাতে কাগজ পাইনি, সেহেতু অবশ্যই জবাব দেব। জনগণের চাপ রয়েছে নির্বাচন করার, তাই প্রার্থী হয়েছি।

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সকল নির্বাচন বর্জন করেছে।

অথচ কতিপয় নেতাকর্মীর বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া কষ্টের বিষয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বরিশালেও তার ব্যত্যয় হবে না।

নয়া শতাব্দী/এসআর/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ