বিদ্যুৎ বিভ্রাটে কিশোরগঞ্জের জেলার অবস্থা বর্তমানে নাকাল। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার লুকোচুরি খেলায় সাধারণ মানুষ ক্রমেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ কোন সময় সংযোগ দিবে আর কোন সময় অফ করে দিবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দিনে-রাতে মিলিয়ে ১৮-২০ ঘণ্টা মতোও বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না। চাহিদামতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিক মতো রাতে পড়াশোনা করতে পারছে না।
কম্পিউটার ও অনলাইনে কাজ করতে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। উপাসনালয়গুলোতেও তীব্র গরমে মানুষজন ধর্মীয় কাজগুলো কষ্টের সাথে করতে হচ্ছে। যাদের আইপিএস আছে তারাও আইপিএস ঠিকমতো চার্জ করতে পারছে না।
সব মিলিয়ে তীব্র গরমে উষ্ঠাগত কিশোরগঞ্জবাসীর জনজীবন। অন্যদিকে প্রকৃতিও করছে বিরুপ আচরণ। মৃদু কিংবা ঝাপটা বাতাস বইছে না কোন এলাকায়। একটু প্রশান্তির জন্য যে বাতাস যে অপরিহার্য তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে কিশোরগঞ্জের মানুষজন।
এই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে কবে উত্তরণ পাওয়া যাবে তা বলতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তা বলেন, পাওয়ার গ্রিড থেকে সরবরাহ কম পাওয়ায় ১-২ ঘণ্টার স্থলে লোডশেডিং হচ্ছে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। তবে এই অবস্থার পরিবর্তন খুব শীঘ্রই আশা করা যায়।
নয়া শতাব্দী/এএএইচ/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ