চট্টগ্রাম নগরীর ‘বহদ্দারহাট বারৈপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত সংযোগ খাল খনন’প্রকল্প ও ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ’প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩ জনের মাঝে ১৭ কোটি টাকার এল.এ চেক বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২০ মে) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তাঁর সম্মেলন কক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের হাতে সরাসরি ক্ষতিপূরণের চেক চেক তুলে দেন।
প্রথমটির বাকলিয়া মৌজায় নুর নগর হাউজিং, ইলিয়াছ ব্রাদার্সের বাড়ি সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত অংশের নাল, ভিটি, চালা ইত্যাদি শ্রেণির ক্ষতিপূরণ ও দ্বিতীয়টির ডোবা, নাল ইত্যাদি শ্রেণির ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল খনন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের সুবিধার্থে প্রত্যাশী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অনুরোধে অধিগ্রহণকৃত ভূমি দ্রুততম সময়ে দখল হস্তান্তর ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।
উপস্থিত লোকজন তাদের ক্ষতিপূরণের চেক সরাসরি জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে গ্রহণ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এতে ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণকারীগণ জেলা প্রশাসক তথা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘কতিপয় দালাল ও অসাধু ব্যক্তির অপপ্রচারে প্ররোচিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণ সরাসরি চেক গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত হয়। মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো স্থান জেলা প্রশাসনে নেই। ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগণ সরাসরি এল.এ শাখায় আবেদন করলে তারাও দ্রুততম সময়ে নিজের ক্ষতিপূরণের টাকা নিজে উত্তোলন করতে পাবেন। যে কোনো সমস্যা সরাসরি জেলা প্রশাসক / অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) বা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার নিকট যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
চেক বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মোঃ আবু রায়হান দোলন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদ, এল.এ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
নয়াশতাব্দী/এমটি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ