সাত বছর ধরে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মাইনুরুজ্জামান সেন্টু (৫৫) এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত। তারপরও থেমে থাকেননি তিনি। রিকশার সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে নাকে পাইপ নিয়ে রিকশা চালাতেন তিনি। তবে এখন তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে তাকে অক্সিজেন ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। সেন্টুর দুই মেয়ে ও এক ছেলে আগেই বিয়ে হয়েছে। তারা আলাদা আলাদা সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাই এই বয়সেও রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার খরচ মেটান তিনি।
অসুস্থ মাইনুরুজ্জামান সেন্টু বলেন, নাক থেকে অক্সিজেন পাইপ খুললে খুব সমস্যা হয়। তাই পাইপ খুললে আমি কথা বলতেই পারি না। যতক্ষণ অক্সিজেন চলে ততক্ষণ ভালো থাকি। প্রতিদিন তিনটা করে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে। এই রিকশা চালিয়ে নিজের সংসার ও চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, গত দেড় মাসে তিনবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিছু দিন ভালো থাকলে আবার রিকশা চালাই। এখন আর শরীর চলছে না। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আগে ভাজাপোড়ার দোকান থেকে ইনকাম করতাম। ২০১৫ সালের দিকে সেই দোকান বন্ধ হয়ে গেলে ২০১৬ সালে আশা নামের একটি এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা কিস্তি (ঋণ) নিয়ে ৮০ হাজার টাকায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেছি। তারপর থেকে রিকশা চালাই। প্রতিদিন ওষুধ কেনা বাবদ ৬০০ টাকার বেশি লাগে। বাড়ি ভাড়া প্রতিমাসে ২ হাজার করে টাকা দিতে হয়। যক্ষ্মা থেকে শ্বাসকষ্ট রোগ হয়েছে। ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট রোগ হয়েছে। এখন অক্সিজেন ছাড়া চলে না।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ