নড়াইলের কালিয়াতে মেয়ের শ্লীলতাহানি ঠেকাতে গিয়ে বাবা-মা মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপজেলার আরাজী বাঁশগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আরাজী বাঁশগ্রামের আবু তালেব বেগ কালিয়া থানায় এজহার দায়ের করেছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন আসামিরা থানায় প্রভাব খাটিয়ে মামলা রেকর্ড করতে দিচ্ছেন না। তারা এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সোমবার (১৫ মে) সরেজমিনে গিয়ে এবং এজহার সূত্রে জানা যায়, জেলার কালিয়া থানার আরাজী বাঁশগ্রামের আবু তালেব বেগের মেয়ে মারিয়ামকে একই গ্রামের মান্নান ফকিরের ছেলে রিপন ফকির (২৬) প্রায়ই কু-প্রস্তাব ও উত্ত্যক্ত করতো। রিপনের অভিভাবকদের বার বার বিষয়টি জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। বরং ক্ষিপ্ত হয়ে রিপন আরও বেশি বিরক্ত করতে থাকে।
গত শনিবার (১৩ মে) মারিয়াম বাড়ির পাশে বাগানে জ্বালানি খড়ি আনতে গেলে রিপন তাকে ধরে শ্লীলতাহানি ঘটানোর চেষ্টা করে। এ সময় মারিয়ামের চিৎকারে তার বাবা-মা ও বোন ছুটে যায়। পাশের লোকজনও সেখানে যায়। তারা রিপনকে ঘটনাস্থলে ধরে ফেলে।
খবর পেয়ে রিপনের পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় রিপনের পরিবারের লোকজনসহ তাদের ঘনিষ্ঠ জনেরা মারিয়ামের পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে জখম করে রিপনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত মারিয়াম এবং তার বাবা-মা ও বোনকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় মারিয়ামের বাবা কালিয়া থানায় এজহার দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন- রিপন ফকির (২৬), তার ভাই হাকিমুল ফকির (২০), মৃত তবিবর ফকিরে ছেলে আনতাল ফকির (২৮) এবং মৃত সোনাই ফকিরের ছেলে জহির ফকির (৪০)।
আসামিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার অধিকাংশ লোকজন নিজ নিজ দলের পক্ষেই কথা বলেছেন। কেউ কেউ বলেছেন মারামারি হয়েছে। শ্লীলতাহানির কোন চেষ্টা ঘটেনি। আবার কেউ কেউ বলেছেন, শ্লীলতাহানির চেষ্টা নিয়েই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরস্পর বিরোধী বক্তব্যের কারণে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে যেটা জানা গেছে সেটা হচ্ছে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা। মারামারির সময় শ্লীলতাহানির ঘটনা বা চেষ্টা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/এসআর/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ