ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডভন্ড সেন্টমার্টিন দ্বীপ

প্রকাশনার সময়: ১৪ মে ২০২৩, ১৪:৫৬ | আপডেট: ১৪ মে ২০২৩, ১৯:০২
ছবি - সংগৃহীত

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালা। রোববার (১৪ মে) দুপুরে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি প্রচুর। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। সমুদ্রের পানি বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে তীব্র বাতাসে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল আঘাত মিয়ানমারের চলছে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিট্যুয়ে অঞ্চল দিয়ে যাবে।’

রোববার (১৪ মে) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদফতর ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আজিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর ততটা ঝুঁকি নেই।’

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে।’

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ