ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রীবোঝাই নৌকাডুবি

নিহত বেড়ে ২১, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশনার সময়: ২৭ আগস্ট ২০২১, ২০:৫১ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২১, ০০:৪৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। দুর্ঘটনার তদন্ত তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কা বিলে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। আহতদের মধ্যে ৮জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে।

আহতরা হলেন, আইয়ূব মিয়া-(৪০), ইব্রাহিম-(১২), আহমদউল্লাহ-(১৩), মুরাদ মিয়া-(৩৫), তানজির-(১০) ও ফারুক মিয়া-(৪৫)।খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দেখতে আসেন।

নৌকার যাত্রী সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আঁখি আক্তার বলেন, তিনি তার স্বামী মুরাদ মিয়া, দুই ছেলে, শ্বাশুড়ি, ভাসুরের তিন ছেলে সহ বিজয়নগরের চম্পকনগর ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দ বাজার ঘাটে আসতে নৌকায় উঠেন। নৌকায় প্রায় শতাধিক যাত্রী ছিলেন। নৌকাটি পথিমধ্যে লইস্কা বিলে এসে বালু বোঝাই একটি ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে পানিতে তলিয়ে যান। তিনি তার স্বামী ও একটি শিশু পুত্রকে নিয়ে সাতরে বিলের কিনারে আসতে পারলেও তার আরেক ছেলে, শ্বাশুড়ি ও ভাসুরের তিন ছেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

হাসপাতালে আহত মুরাদ মিয়া বলেন, হঠাৎ ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তারপর অনেক কষ্টে এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সাতরে উপরে উঠেছি। আমার ১ ছেলে, মা ও তিন ভাতিজা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

নৌকায় থাকা যাত্রী মোহাম্মদ রাফি বলেন, আমি নৌকার ছাদে বসে ছিলাম। বিজয়নগরের চম্পকনগর নৌকাঘাট থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় নৌকাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দ বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। নৌকাটি লইস্কার বিলে আসলে বালু বোঝাই একটি ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। আমি ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়ে সাতরে উপরে উঠি। রাফি আরো বলেন, নৌকার নিচে ও উপরের শতাধিকের মতো যাত্রী ছিলো।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। এ পর্যন্ত ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এখনো নৌকাটি উদ্ধার করা যায়নি। তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

নয়া শতাব্দী/এসইউ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ