ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আখাউড়ায় আয়জা শিশু পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড়

প্রকাশনার সময়: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:০০

ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ঈদের তৃতীয় দিনেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আয়জা শিশু পার্কে ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। বর্ণিল সাজে সাজানো এই পার্কে উপজেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় করছেন।

পৌর শহরের খালাজুড়া জাহাঙ্গীর প্যালেস সংলগ্ন অত্যন্ত নিরিবিলি পরিবেশে এই আয়জা শিশু পার্কটি করা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে গত ৪ দিন আগে এই শিশু পার্কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করা হয়।

এদিকে পার্কে আসা দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষ বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে ঈদ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে এই বিনোদন কেন্দ্রটি। আয়জা শিশু পার্কের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। এছাড়া রাইডপ্রতি ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এসব রাইডে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও চড়ছেন। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্ধুবান্ধব ও স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে পার্কে আসছেন বিনোদন পিপাসু লোকজনরা।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিনে অসংখ্য দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠেছে এই শিশু পার্কটি। নাগরদোলা ও নৌকা চড়ে আনন্দে মেতে উঠেছে দর্শনার্থীরা।

বাবার সাথে ঘুরতে আসা পৌর শহরের তারাগন এলাকার কাজী জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ‘আখাউড়ায় তেমন বিনোদনের ভালো কোন জায়গা নেই। এই পার্কটি হওয়াতে খুবই ভালই হয়েছে। নিরিবিলি পরিবেশ থাকায় পার্কটিতে এসে খুবই ভালো লেগেছে।’

বাবা-মায়ের সঙ্গে দেবগ্রাম থেকে ঘুরতে এসেছেন মো: শিমুল হাসান নামের এক শিশু। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে এই পার্কে ঘুরতে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। ঈদের দিন অন্য জায়গাতে গেলেও আজকে এখানে আসাতে আরও বেশি মজা হচ্ছে।’

কলেজ পাড়া এলাকার মো: আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আসলে আখাউড়ায় বিনোদনের তেমন কোন জায়গা নেই। এখন এই পার্কটি হয়েছে। তাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে এখানে আসা। আমার ছেলে রাইডে চড়েছে। সবাই মিলে ছবি তুলেছি। এবং খাবার খেলাম সব মিলিয়ে খুবই আনন্দ পেয়েছি।’

গৃহিণী মিম ইসলাম বলেন, ‘আখাউড়ায় বিনোদনের তেমন কোনো স্থান নেই। নতুন এই পার্কটি হওয়াতে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। তাই ছেলে মেয়েকে নিয়ে এখানে এসেছি আনন্দ করার জন্য। ছেলে মেয়ে রাইডে চড়েছে সব মিলিয়ে সবাই খুবই আনন্দ করেছি।’

জানতে চাইলে পৌর শহরের রাধানগর এলাকার বাসিন্দা ও আয়জা শিশু পার্কের মালিক মো: আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আখাউড়াতে শিশুদের কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাই অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছি একটি শিশু পার্ক করার জন্যা। প্রায় ২৬ শতক জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে ।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমে দুটি নাগরদোলা ও একটি নৌকা রাইড দিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়। আছে গাছপালা হরিণ আর বাঘ। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আরও কয়েকটি নতুন রাইড পার্কে যুক্ত করা হবে। যাত্রা শুরুতেই ভালো সারা পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘একটি পার্ক করতে তার দীর্ঘ বছরের স্বপ্ন ছিল আমার। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

নয়াশতাব্দী/এমটি

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ