চলনবিলের ডোবা, খাল-বিলের তলদেশ ভরাট হওয়া এবং তা সংস্কার না করা, গণহারে মাছের প্রজনন কালে ডিমওয়ালা মা মাছ শিকার করাসহ নানা কারণে গ্রীষ্মকালে চলনবিলে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংকট দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চলনবিলের ৯ উপজেলায় প্রায় সব জায়গায়ই গ্রীষ্মকালে খাল, বিল, ডোবা, নালা সেচে মাছ শিকার করা হয়। চলনবিলে বারো মাস পানি থাকে; এমন ডোবা-নালাও নেই। যে কারণে মাছের প্রজনন কালেও মা মাছ বংশ বিস্তার করতে পারছে না। এর ফলেই চলনবিল জুড়ে মাছের বাজারে দেশীয় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার হাট-বাজারে দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ পুঁটি, মলা, ঢেলা, চিংড়ি, চান্দা, বাতাসী, গুচই, পবা, কই, মাগুর, সিং, চেলা , বাইম, কৈ, শৈল, গজার ইত্যাদি মাছের সরবরাহ খুবই কম।
চলনবিলের মৎস্যচাষী ও মহিষলুটি আড়ৎ এর ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান রাজু জানান, চলনবিলের বিভিন্ন হাট বাজার ও মহিষলুটি, হরিণচড়া , সিরাজগঞ্জ রোড সহ প্রসিদ্ধ মাছের আড়ৎগুলোতে যে সামান্য পরিমাণ দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে, মূলত তার অধিকাংশই পুকুরে চাষ করা।
এদিকে রমজান মাসে দেশীয় মাছের সংকটের কারণে ক্রেতারা বাধ্য হয়েই পুকুরে চাষ করা মাছ কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
অন্য দিকে মাছ কিনতে আসা মোহাম্মদ, শফি, মিন্টুসহ একাধিক ক্রেতা জানান, রমজান মাসে হাট বাজারে দেশীয় প্রজাতির যে মাছ মিলছে তার অধিকাংশ পুকুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা। তারা আরও জানান, রমজান মাসে অনেকেই ছোট মাছ কিনতে চান, কারণ বড় মাছের চেয়ে ছোট মাছের স্বাদ ভালো।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার জানান, চলনবিলের অধিকাংশ জায়গায়ই পানি না থাকায় দেশীয় মাছের এই সংকট। তবে বৃষ্টিপাত শুরু হলে এবং খাল বিলে পানি আসলে দেশীয় মাছের এই সংকট কেটে যাবে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ