চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের আলহাজ ফজলুল কাদের চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিমার্ণাধীন স্কুল ভবনের বিল্ডিংয়ে ছাদে ফাটল ধরেছে। এলাকার মানুষ জানান, নিমার্ণাধীন ভবনের ফাটলের কারণে নানা প্রশ্ন তুলে কাজের গুণগত মান নিয়ে।
২০১৯ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন হলেও করোনাকালে দুবছর কাজও বন্ধ রেখেছিলো ঠিকাদার। কাজ শুরু হলে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ভেঙে যায় ভবনের বিম পিলার। স্কুল কমিটি ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে সেটি পুনরায় ঠিক করে দেন ঠিকাদার। এমনটায় জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মানুষ বলেন, ভবনের কাজে দায়িত্বে থাকা কমিটি এবং উপজেলা প্রকৌশলের দায়িত্ব পালনকারীদের বিশেষ কোনো কিছুর মাধ্যমে ম্যানেজ করে কাজ করছে কি না তা বোধগম্য নয়। বিধায় ভবনটি ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। উদ্বোধনের ৪ বছর পার হলেও এখনও ভবনের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার।
এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাকবৃন্দরা বলেন, নির্মাণকাজ শেষ না হতেই ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে, না জানি আরও কাজের গুণগতমান কেমন হতে পারে! সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলীর পছন্দের ঠিকাদার কাজটি করেন। তাই কেউ ভয়ে কোনো প্রতিবাদও করেন না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উদ্বোধনের ৪ বছর পার হলেও এখনও শেষ হয়নি ভবনের কাজ। চলছে ক্লাস রুমের দরজা-জানালা লাগানোর কাজ। কয়েকজন শ্রমিক দরজা-জানালা লাগানোর কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুদিন আগ থেকে তারা কাজ শুরু করেছেন। এতদিন বন্ধ ছিলো ভবনের কাজ। পুরাতন জরার্জীণ ভবনে পাঠদান করছেন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা চক্রবর্ত্তী ও বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জামাল বলেন, ২০১৯ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। করোনাকালে দুই বছর কাজও বন্ধ রেখেছিলো ঠিকাদার। কাজ শুরু হলে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ভেঙে যায় ভবনের বিম পিলার। আমরা সকলে প্রতিবাদ করলে তা পুনরায় ঠিক করে দেন ঠিকাদার। এরপর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো কাজ। কিছুদিন হচ্ছে আবার কাজ ধরছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে ১২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বিদ্যালয়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা ভূল তথ্য লেখেন কেন? আসলেই আপনারা নন টেকনিক্যাল লোক! সিভিল কাজে ভূলক্রুটি হলে আমরা ঠিক করব, এখনও ছাদের মধ্যে কাজ বাকি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ ছিলো, এখন আবার চলছে কাজ। আশা করছি, ১৫ দিনের মধ্যে কাজটি শেষ হয়ে যাবে।
তবে কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণকাজ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ঠিকাদারের নাম মনে পড়ছে না। তবে কাজটি জসিম নামে এক ব্যক্তি করছেন।
প্রকৌশলী তসলিমা জাহান আরও জানান, আপনারা যে ফাটলগুলো দেখছেন এগুলো ফাটল না।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ