সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় ডা. মাহাতাবউদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালের বিরুদ্ধে নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পরিবারটির অভিযোগ। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলছে, আল্ট্রাসনো রিপোর্টে ভুল ছিল। দুটি নয় প্রসুতির গর্ভে বাচ্চা পাওয়া গেছে একটি।
কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম জানান, ‘আমার স্ত্রী মৌসুমী খাতুনের গর্ভে সন্তান আসার পর এ পর্যন্ত তিনবার আল্ট্রাসনো করা হয়েছে সব রিপোর্টে গর্ভে দুটি জমজ ছেলে সন্তানের কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টেও সেটি লেখা রয়েছে। প্রসব বেদনা আসলে দুপুর দেড়টার দিকে শহরের মাহাতাবউদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তারাও জানিয়েছে, গর্ভে যমজ দুটি সন্তান রয়েছে। এরপর সিজার করার পর একটি সন্তান দিয়েছে। আরেকটির কোন হদিস নেই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি বাচ্চা চুরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অথবা সিজার করার সময় ছুরির আঘাতে মারা গেছে সেকারণে এখন অস্বীকার করছে। এখন আমি কি করবো। পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছি।’
প্রসূতি মৌসুমী খাতুনের চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই ক্লিনিকে ভর্তি করার পরও বলেছে যমজ দুটি ছেলে সন্তান গর্ভে। সিজারের পর দিচ্ছে একটি। পুলিশের জরুরি সেবা ৩৩৩-তে কল করেছিলাম। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেছে। তবে বাচ্চা উদ্ধার করতে পারেনি। শেষে পুলিশ বলেছে, আপনারা থানায় মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডাঃ মাহাতাবউদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালের ম্যানেজার শরিফুজ্জামান বিপুল বলেন, ডা. লিপিকা বিশ্বাস সিজারটি করেছেন। ক্লিনিক থেকে বাচ্চা চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি। আল্ট্রাসনো রিপোর্ট ভুল ছিল। যমজ নয় প্রসূতির গর্ভে একটি ছেলে সন্তান পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা ধারণা করছি, আল্ট্রাসনো রিপোর্টটি ভুল ছিল। বাচ্চা চুরির কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ