ইউএনও'র বাসায় হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত বরিশাল। মেয়রসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগ। একই সাথে দাবি জানান, ইউএনওকে প্রত্যাহারের। তবে জড়িতদের কোন ছাড় না দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসনও। এখন পর্যন্ত দুই মামলায় গ্রেপ্তার ১২ জনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে তুলকালাম কাণ্ডের পর উত্তেজনা বরিশাল জুড়ে। অনেকটাই মুখোমুখি অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ।
সিটি মেয়রসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শহরের বাইরে বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
নগরীর শহীদ সোহেল চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে মহিলা আওয়ামী লীগ। ইউএনও'র প্রত্যাহারসহ কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন নেতাকর্মীরা। আর প্রশাসনের পদক্ষেপ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে ক্ষোভ জানিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলায় মেয়র সাদিকসহ আসামি ৬ শতাধিক। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনড় অবস্থানে প্রশাসনও। এই মুহূর্তে বিজিবি নামানো হলেও বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় না দেয়ার হুঁশিয়ারি বিভাগীয় কমিশনারের।
সহিংসতার দুদিন পার হলেও, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা সরায়নি সিটি করপোরেশন।
বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে ব্যানার-পোস্টা ছেঁড়া আর তাতে ইউএনও'র বাধা- এমন তুচ্ছ ঘটনায় রণক্ষেত্র সদর উপজেলা চত্বর। হামলা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের বাসভবনেও।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ