ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ঈশ্বরদীতে, বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশনার সময়: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:২৬

ঈশ্বরদীজুড়ে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। শীতের সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এতে আরও বেড়েছে শৈত্যপ্রবাহ।

ঈশ্বরদীতে বুধবার (১১ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি এখানে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকড করা হয়। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল বাতাসও বইছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর গত দুদিন তাপমাত্রা বাড়লেও বুধবার (১১ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকালে ঢেকে ছিল ঘন কুয়াশায়। মহাসড়কে গাড়ির হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে ভোরে কাজের সন্ধানে যাদের বের হতে হচ্ছে, তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র মানুষদের আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে। তীব্র শীতে মানুষের পাশাপাশি কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত প্রাণীরাও।

বাসাবাড়িতে কাজ করা মনোয়ারা জানান, রাতে পলিথিনের ঘর, টিনের ফুটো দিয়ে হিমেল বাতাস ঢুকে যায়। ঘর হয়ে থাকে বরফের মতো ঠান্ডা। এই অবসস্থায় সকালে উঠে কাজে আসতেও কষ্ট হয়।

শীতের একই ধরনের কষ্টের কথা বলেন রিকশাচালক শহিদুল। তিনি বলেন, হাত-পা জমে যাচ্ছে। বেশিক্ষণ রিকশা চালাতে পারছি না।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলালুজ্জমান জানান, ঈশ্বরদীতে বুধবার (১১ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গেল কয়েক দিন ধরে ঈশ্বরদী ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ বেশি। অবশেষে টানা সপ্তাহ পর ঈশ্বরদীতে ৮ জানুয়ারি সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মিলেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ