ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশনার সময়: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৫

গ্রামীণফোন লিমিটেডের ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া থানার ডিস্ট্রিবিউটরের লগ (ডিপো) ভোল্ট থেকে সম্পদ চুরির অভিযোগে মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লগ ইনচার্জ মো. কুসুম শেখ।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে ঈশ্বরদী শহরেরর আড়পাড়া নিজস্ব বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে কুসুম শেখ বলেন, আমি চাকরিতে যোগদানের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আমার দ্বারা কোম্পানির সম্পদের কোনো ক্ষতি হয়নি। গ্রামীণফোন থেকে যেসব সম্পদ ডিস্ট্রিবিউটরে আসতো, মালিকপক্ষ নিজে রিসিভ করতেন। তারপর মালিকপক্ষ আমাকে মালামাল বুঝিয়ে দিলে আমি মালামালের লগ মেইনটেইন করতাম মাত্র।

তিনি আরও বলেন, আমার দায়িত্ব শুধু মালামাল বের করে দেওয়া, ক্রয়-বিক্রয় আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। শুধু তাই না, কোম্পানির ভোল্টের এক সেট চাবি আমাকে দেওয়া হলেও আমি সেই চাবি প্রতিদিন কাজ শেষে তাদের বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি যেতাম। মালিক পক্ষ আরও এক সেট চাবি নিজেদের কাছে রেখে ইচ্ছামতো ভোল্ট ব্যবহার করতেন।

কুসুম শেখ বলেন, মালিকপক্ষ বেশিরভাগ সময় অনেক মালামালের হিসাব আমাকে বুঝিয়ে দেয়নি বা হিসাব ছাড়াই অনেক মালামাল বিক্রয় করেছেন। আমি হিসাব চাইলে বলেছে, পরে এন্ট্রি করলে হবে। আমি চাকরি বাঁচানোর জন্য তাদের সব কথা মেনে চলতাম।

তিনি বলেন, উক্ত কোম্পানিতে লগ ইনচার্জ পদে নিয়োগপত্র ছাড়াই আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে কোনো প্রকার অনিয়মের আশ্রয় নিইনি এবং কোনো প্রকার প্রতারণাও করিনি। অথচ নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে নিয়োগপত্র চাইলে কৌশলে সময়ক্ষেপণ করে আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এমনকি আমাকে নিয়োগ দেওয়ার আগে ভুল বুঝিয়ে আমার কাছ থেকে একটি সাদা চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দেন। মালিক পক্ষের অশুভ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি সেই সিকিউরিটি চেক উদ্ধারের মামলা করলে মালিক পক্ষ আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে প্রশাসনকে দিয়ে নানা প্রকার হয়রানি করতে থাকে। বর্তমানেও তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন লিমিটেড ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া থানার ডিস্ট্রিবিউটরের লগ (ডিপো) ভোল্ট থেকে ৯৫ হাজার ১১ হাজার ১৪৮ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগে ঈশ্বরদী থানায় যে মামলা করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সবার কাছে আমাকে ও আমার পরিবারকে রক্ষায় সার্বিক সহায়তা কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কুসুম শেখের মা মাজেদা শাহীন, ভাই মঞ্জুর রহমান, শ্বশুর সুলতান মীর ও চাচা মসলেম উদ্দিন।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ