ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনামূল্যে বই দিচ্ছে সরকার, টাকা নিচ্ছে শিক্ষা অফিস

প্রকাশনার সময়: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৪৮

সারাদেশে সরকারিভাবে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হলেও মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দেখা গেছে তার বিপরীত চিত্র। সরকারি বই দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ উপজেলা শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হলেও কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলোকে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

তবে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দা নার্গিস আক্তার বই সংকটের কথা স্বীকার করলেও টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

জানাগেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৯০টি কিন্ডার গার্টেন (কেজি স্কুল) রয়েছে। শিক্ষা প্রসারে সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলোতেও বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছেন। বিগত বছরগুলোতে সরকারি স্কুলগুলোর পাশাপাশি কিন্ডার গার্টেনে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হলেও এবছর নেয়া হয়েছে স্কুলপ্রতি ১ হাজার করে টাকা।

সূত্রমতে, প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে কিন্ডার গার্টেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান বা পরিচালক পর্যায়ের ব্যক্তি শিক্ষা অফিসের বিশ্বস্ত একেক জনকে এ টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে এসবের কলকাঠি নাড়ছেন সহকারি শিক্ষা অফিসার (এটিইও) মো. ফারুক হোসেন। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাউকে এ নিয়ে কোনো গণমাধ্যমকর্মী কিংবা অন্য কোথাও মুখ না খোলার জন্য হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

জামির্ত্তা ইউনিয়নের চন্দননগর সোলারিয়াম একাডেমীর পরিচালক অ্যাডভোকেট মনির হোসেন বলেন, সব কেজি স্কুল থেকেই এক হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে। এটিইও ফারুক সাহেব নিজে না নিয়ে ক্লাস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার কাছে যিনি চেয়েছেন আমি তাকে পরে দেয়ার কথা বলেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কিন্ডার গার্টেনের প্রধান বলেন, তার ইউনিয়নের কিন্ডার গার্টেনগুলো থেকে উত্তোলন করা টাকা এক পরিচালকের মাধ্যমে শিক্ষা অফিসে দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সহকারি শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন বলেন, টাকা নেয়া তো দূরের কথা, কিন্ডার গার্টেন স্কুলের কোনো শিক্ষকের সাথে আমার কথাই হয়নি।

সিংগাইর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দা নার্গিস আক্তার বলেন, কেজি স্কুলগুলোকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর বই দেয়া হয়েছে। টাকা নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারো কাছ থেকে একটি পয়সাও নেয়া হয়নি। কেউ বলে থাকলে তাকে আমার অফিসে নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, বইয়ের বিষয়ে কোনো আর্থিক লেনদেন হলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ