ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কালুরঘাট সেতু সংস্কার, কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ

প্রকাশনার সময়: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৮

পুরনো কালুরঘাট সেতুটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। নতুন কালুরঘাট সেতুর নকশা পরিবর্তন হওয়ায় এবং প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই (বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে) সরকারের কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন সেতুর কাজ শুরু হচ্ছে না। তাই রেল কর্তৃপক্ষ পুরনো সেতুটি বুয়েটের পরামর্শে সংস্কার করে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

বুয়েটের দেওয়া প্রস্তাবনাও অনুমোদন করা হয়েছে। এখন চুক্তি হবে, এরপর মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে বুয়েট। এমনটা জানিয়েছেন রেল ভবনের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। পুরনো কালুরঘাট সেতুটি মেরামত উপযোগী করে তোলার জন্য বুয়েট তাদের পরামর্শ ফি বাবদ প্রথমে ১২ কোটি টাকা চাইলেও শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সম্মত হয়েছে। এখন চুক্তি হওয়ার তারা প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে বলে জানান কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন নকশা চূড়ান্ত হওয়ায় এখন নতুন নকশায় প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরি করা হবে। এরপর কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সঙ্গে ঋণ চুক্তি শেষে একনেকে উঠবে। একনেকে অনুমোদনের পর টেন্ডার শেষে ঠিকাদার নিয়োগ হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আমরা কালুরঘাট সেতু দিয়ে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু করবো। প্রথম দিকে বেশি না হলেও প্রতিদিন একটি ট্রেন চলাচল করবে। সেতুটি মেরামতের পর ছোট মিটারগেজ ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো যাবে। মেরামতের ব্যাপারে বুয়েটের সঙ্গে রেলওয়ের চুক্তি হয়েছে তারা ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কাজ করবে।

তিনি বলেন, একনেকে অনুমোদনের পর টেন্ডার, তারপর ঠিকাদার নিয়োগ ও পরামর্শক নিয়োগ হবে। এসব অনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল চলে যাবে। ২০২৪ সালের শুরুতে আমরা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবো।

এদিকে স্বপ্নপূরণের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দোহাজারী-কঙবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ। গত জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৭৩ শতাংশ। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে কক্সবাজারে নির্মিত বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং আইকনিক রেল স্টেশনের মূল ভবনের কাজ। ঝিনুকের আদলে রূপ পাচ্ছে কক্সবাজার রেল স্টেশনটি। বাকি ২৭ শতাংশ কাজ শেষ হলেই আগামী বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেনে কঙবাজারে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হবে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ।

এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা কাজ করছি। যদিও আমার প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত কিন্তু আগামী বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের ট্রেন চালাতে হবে। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি। এরপর এই রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল শুরু হবে।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ