ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ও বছরের শেষ সূর্যাস্তের দৃশ্য অবলোকনের জন্য পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক দর্শনার্থী। পুরনো বছরের শেষ মূহুর্তকে ধরে রাখতে কেউ তুলছেন ছবি। কেউ করেছেন ভিডিও। কেউ নেচে গেয়ে আনন্দ করছেন সৈকতের নোনা জলে। কেউবা আবার প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউবা আবার বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
শুক্রবার সকাল থেকেই এই বেলাভূমিতে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে শুধু জিরো পয়েন্ট নয়, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবন ও গঙ্গামতিসহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। পর্যটকদের ভিড়ে আচারের দোকান, কসমেটিক্সের দোকান, রাখাইনদের কাপড়ের দোকানসহ সকল পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেড়েছে বিক্রি। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার ৮০ শতাংশ হোটেল মোটেল। এসকল পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক ইমাদুল জানান, মূলত আমরা বছরের শেষ সূর্যাস্ত এবং নতুন সূর্যদয় উপভোগ করার জন্যই কুয়াকাটায় এসেছি। এখানে কুয়াশার কারনে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে না পারলেও বেশ আনন্দ করেছি। সূর্যাস্ত উপভোগ করতে না পারলেও কুয়াকাটার পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেছি। বেশ ভালোই লেগেছে। আমরা বন্ধুরা আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছি। আগামীকাল সূর্য উদয় উপভোগ করবো। আগে ভাগেই গঙ্গামতির যাওয়ার জন্য অটোরিক্সা বুকিং করে রেখেছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, পদ্মাসেতুর কারণে যাতায়াত সহজ হওয়ায় আগের তুলনায় দ্বিগুন পর্যটকের আগমন ঘটছে। আজ বছরের শেষ দিন উপলক্ষে ব্যাপক পর্যটক রয়েছে। আমাদের ৮০ শতাংশ হোটেল বুকিং করেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাচনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশও মাঠে কাজ করছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ