নড়াইলে এক মাদ্রাসার ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে সদরের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম সরকেলডাঙ্গা হাসানিয়া কওমী মাদ্রাসার নির্মানাধীন সেফটি ট্যাংকের মধ্যে ওই মরদেহ পাওয়া যায়।

মৃত আবদুল্লাহ গাজী (১০) ওই মাদ্রাসার কেরাত বিভাগের ছাত্র এবং কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের চাঁচুড়ী গ্রামের ইনছান গাজীর ছেলে।

পুলিশ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত আবদুল্লাহ এশার নামাজ জামাতে শেষ করে প্রতিবেশী এক বাড়িতে (লজিং) রাতের খাবার খাওয়ার জন্য মসজিদ থেকে বের হয়। কিন্তু রাত ৯ টা বেজে গেলেও ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। যে বাড়িতে খেতে যায় সে বাড়িতে খেতে না যাওয়ায়, অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই মাদ্রাসা ও এতিমখানার নির্মানাধীন সেফটি ট্যাংকের মধ্যে তাকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করা হলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার নূরানী শিক্ষক মাওলানা মহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা ৯টার দিকে আমার কাছে এসে জানায় সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে আসলেও আবদুল্লাহ আসেনি। তারপর তাকে খুঁজতে খুঁজতে রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসা থেকে ২০ গজ পশ্চিমে নির্মানাধীন একটি ট্যংকির মধ্যে মরদেহ পাওয়া যায়। তবে, মাদ্রাসায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।

আবদুল্লাহর বাবা ইনছান গাজী জানান, তার ছেলের ওপর জিনের আশ্রয় ছিলো। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন তিনি।

নড়াইল সদর থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই এবং শনিবার ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মৃতের শরীরে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এমএস