শুক্রবার নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- মা নাজমা বেগম (৩০) ও ছেলে তাছিম শেখ (৪)। এঘটনায় আরও ৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন কালিয়ার মাহমুদ শেখ ( ৪৫), বাহিরডাঙ্গা গ্রামের রয়েল মণ্ডল (৩০), গ্রাম পুলিশ লাবু শেখ (২৮) ও জোকার চরের মো. খানজাহান আলী (৫০)।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌকা ডুবির ২২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ ওই চার জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার হামিদুপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের জলিলের স্ত্রী নাজমা তার সন্তান নিয়ে গতকাল রাত সাড়ে ৭টার দিকে মৃত দাদীকে দেখতে একই উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বাহিরডাঙ্গা গ্রামে যাচ্ছিলেন। নদী পার হয়ে নাজমা দাদী বাড়িতে যাবার সময় ছোট আকৃতির খেয়া নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ডুবে যায়। এসময় বেশ কয়েকজন যাত্রী সাতার কেটে ডাঙ্গায় উঠতে পারলেও নাজমা তার ৪ বছরের সন্তানকে নিয়ে ডাঙ্গায় উঠতে পারেননি। পরে স্থানীয় লোকজন ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে নাজমা ও তার সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে।
থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল এবং স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। নিহত এবং নিখোঁজ সকলেই নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।কালিয়া ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, নৌকাটিতে ১৮ থেকে ২০ জনের মত লোক ছিলেন। এর মধ্যে শিশুসহ দুইজনের মরদেহ রাতেই উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠলেও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম বলেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ চারজনের সন্ধান মেলেনি।
কালিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল হান্নান বলেন, খুলনা থেকে ডুবুরী দল ও আমাদের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ কোন ব্যাক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। নদীতে স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে।
এ দিকে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশ্রাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরিন জাহানসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ