ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ধামরাইয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বিপাকে কৃষকরা 

প্রকাশনার সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:০৫

ঢাকার ধামরাইয়ে ফসলি জমি রক্ষা করতে গিয়ে মামলা হামলা ও হুমকি ধামকির স্বীকার হচ্ছেন কৃষকেরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাটি ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবস্থানরত সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও জমিতে অনেক পানি থাকায় সরকারি রাস্তা নষ্ট করা হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের জন্য। মাটি কাটার জন্য ড্রেন কেটে সরকারি রাস্তা ক্ষতি করে রাস্তার মাঝখানে পাইপ বসানো হয়েছে। এই সরকারি রাস্তা ও ফসলি জমি রক্ষা করতে আমতা ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের মানুষ একত্র হয়ে মাটি কাটা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং দুই তিন বার মিটিং করে সকলেই সম্মিলিত হয়ে গণস্বাক্ষর নিয়েছে।

আমতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আলামিন বলেন- আমাদের এখানে তিন গ্রামের জমি রয়েছে, নয়াচর, ডাকাত মারা ও বাউখন্ড। এই ফসলি জমিতে যদি মাটি কাটা হয়, তাহলে আমাদের যে গরিব মানুষ আছে তারা না খেয়ে মারা যাবে। আমরা সবাই মিলে মিটিং করে একটা সিদ্ধান্ত নিছি এখান থেকে আর কোনো মাটি কাটা হবে না। এখানে মাটি কাটা হলে আমাদের চকটাই একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। যাই হোক আমরা মিটিং করে গণ স্বাক্ষরও উঠিয়েছি। তিন গ্রামের মানুষই সাক্ষর দিছে। এখন মাটি কিনছে আলকেছ মেম্বার, আলমগীর ও শফিক।

আমতা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন- আমরা দেখতেছি বিগত দিনে এক বিঘা জায়গায় মাটি কাটার করনে দেখা যায় চার পাশে চার বিঘা জায়গা ভেঙ্গে চুরে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। চার বিঘা যে ভাঙ্গল কোনো বিচার ও পায় না এবং অদের সাথে শক্তিতেও পারে না। এরা জোর জলুম, নির্যাতন, অন্যায় অত্যাচার করে। এই দেশের মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করে। যেমন তিনটি গ্রামের জমি আছে এখানে। তিন গ্রামের মানুষই মাটি কাটার বিপক্ষে অভিযোগ করছে। মাটি কাটতে দিবে না যেন চকটা রক্ষা হয়। চকে ধান, সরিষা, ভূট্টা ফসল ফলিয়ে আমরা বাঁচতে পারি। এরকম একটা সিদ্ধান্ত যা নিয়ে আমরা মাটি কাটার বিপক্ষে আছি। মাটি আমরা কাটতে দিব না। আগেই নিষেধ করা হয়ছে। তারপরও এরা মানতেছে না। আজকে নয়টার দিকে ভেকুটা আনছে। আনার কোন কারণই নাই। ভেকুর কোন কাজই নাই। এটা একটা ষড়যন্ত্র। ভেকু আনছে আলকেছ মেম্বার, শফিক ও আলমগীর। এরা ইট ভাটার মালিক। মানুষকে হেস্তনেস্ত করার জন্য নিজেদের ভেকু নিজেরা ক্ষতি করেছে। শুনতেছি গ্রামের মানুষের নামে থানায় অভিযোগ করবে। তারপরও এরা মাটি নিবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলকেছ আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ