প্রাথমিকের শিশু, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রণির ও মাধ্যমিকের সপ্তম শ্রেণির বই না আসায় বই উৎসবে শ্রেণি চারটির শিক্ষার্থীরাও নতুন বই না পাওয়ার আশঙ্কা। নতুন বছরে চার শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন বছরের প্রথমদিনে বই উৎসবের প্রত্যাশিত নতুন বই পৌঁছায়নি পাবনার ঈশ্বরদীতে। এতে বই উৎসবে ভাটা পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বলছে, প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বই, তৃতীয় শ্রেণির বই এবং চতুর্থ শ্রেণির বই না আসলেও প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণির প্রায় শতভাগ বই এবং পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও পরিবেশ পরিচিতি এই তিনটি বই পেয়েছেন। আগামীকাল রোববার বই উৎসবে কোনো শিক্ষার্থী খালি হাতে বাড়ি যাবে না বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, ঈশ্বরদী উপজেলায় ৩ হাজার ৪৫০ জন প্রাক প্রাথমিক, ৮ হাজার জন প্রথম শ্রেণি, ৮ হাজার জন দ্বিতীয় শ্রেণি, ৭ হাজার ৬০০ জন তৃতীয় শ্রেণি, ৭ হাজার ৬০০ জন চতুর্থ শ্রেণি ও ৭ হাজার জন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য বইয়ের চাহিদা রয়েছে। প্রাক প্রথমিক শ্রেণির নতুন খাতা এলেও বই আসেনি। পঞ্চম শ্রেণির ৬ বিষয়ের মধ্যে বাংলা , ইংরেজি ও পরিবেশ পরিচিতি ও বিশ্ব পরিচয় এই ৩ বিষয়ের বই পৌঁছেছে। এবছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বইয়ের চাহিদা ৪১ হাজার ৬৫০ সেট। উপজেলায় প্রাথমিকের ৫৫ শতাংশ বই এসে পোঁছেছে।
এ উপজেলায় ১০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০২ টি হাইস্কুল সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, এনজিও পরিচালিত স্কুল এবং কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। এতে মোট শিক্ষার্থীদের বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৬৫০ সেট । নতুন বই ৫ শ্রেণির ৩ টি বিষয় এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির আট হাজার করে ১৬ হাজার ও ৫ শ্রেণির ৩ টি বই ৭০০০ বই পোঁছেছে। যা শতকরা হিসাবে সাড়ে ৪৭ শতাংশ।
এ দিকে উপজেলায় মাধ্যমিকের ৪৯ দশমিক ২৭ শতাংশ বই পৌঁছেছে। উপজেলায় ৪৭ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২১ টি মাদরাসা রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬০ টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পোঁছেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬১৬ টি। যা শতকরা হিসেবে ৪৮ দশমিক ১২ ভাগ। মাদ্রাসায় ৮২ হাজার ১৫৫ টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে ৪৪ হাজার ৫৫৪ টি বি পোঁছেছে। যা শতকরা হিসেবে ৫৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পযন্ত শিক্ষার্থীর জন্য ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৫ টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ২ লাখ ১৫ হাজার ১৭০ টি বই পৌঁছেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম আক্তার জানান, চাহিদার প্রায় ৫০ ভাগ বই পৌঁছেছে। সপ্তম শ্রেণির কোনো বই পৌঁছায়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি বই পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ