ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যমুনার চরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শহিতন

প্রকাশনার সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:২৭

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের যমুনা নদীর দুর্গম চর মাকড়া গ্রামের অসহায় দুস্থ হতদরিদ্র বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শহিতন খাতুন (২০) কে শনিবার দুপুরে দোচালা টিনের ঘরও ল্যাট্রিন প্রদান করা হয়েছে।

হাউজ অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের (এইচএমসিটি) অর্থায়নে ও প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় তাকে এ ঘর ও ল্যাট্রিন প্রদান করা হয়। ফলে এই অসহায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী মাথা গোজার ঠাঁই পেলো।

এর আগে তিনি অন্যের জায়গায় চট দিয়ে ঘেরা ঝুপড়ি ঘরে থাকতো। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছিল। তার এই কষ্ট দেখে প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের কর্ণধার শাহবাজ খান সানি হাউস অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থায়নে এ ঘর ও ল্যাট্রিন প্রদান করেন।

এ ঘর ও ল্যাট্রিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এইচএমসিটির তত্বাবধায়ক শাহবাজ খান সানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজকর্মী শরিফ খন্দকার ও পল্লী চিকিৎসক জিয়াউল হক।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল আজিজ, শামীম হোসেন, রমজান আলী, ফারুক হোসেন, রাফি, ফরমান আলী, হাফিজুল, কামাল, খলিল, সোলেমান প্রমুখ।

এ বিষয়ে শহিতনের বাবা শফি বেপারী ও মা সোনিয়া খাতুন বলেন, রাক্ষুসী যমুনার কড়াল গ্রাসে বাড়িঘর জমিজমা সব বিলিন হয়ে গেছে। সেই থেকে অন্যের জমিতে ঝুপড়ি তুলে মেয়েকে নিয়ে থাকি। সানি ভাই আমাদের অসহায় অবস্থা দেখে এই ঘর ও ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ফলে আমরা এখন ভালো ঘরে বসবাস করতে পারবো।

এ বিষয়ে প্রচেষ্টা সবার জন্য মানবিক সংগঠনের কর্ণধার শাহবাজ খান সানি বলেন, আমার বোন সোস্যাল ইসলামি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক নার্গিস মান্নান তার জীবদ্দশায় সারা জীবন অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি হাউস অফ মান্নান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করে এ সংগঠনের মাধ্যমে শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হাজার হাজার অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি, এ সব অসহায়দের মাঝে শাড়ি,লুঙ্গি, লেপ, কম্বল, বালিশ, বিছানার চাদর, টিউবয়েল, ও নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। বহু হতদরিদ্র ছেলে মেয়ের বিয়ে ও পড়ালেখায় বৃত্তি ও নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। তার অকাল মৃত্যুর পরে তার ছেলে মেয়ে এই দান অব্যাহত রেখেছেন। সেই ধারাবাহিকতা শহিতনকে ঘর ও ল্যাট্রিনসহ লেপ, কম্বল, তোষক, বালিশ ও বিছানার চাদর প্রদান করা হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ